প্রধানমন্ত্রীকে নোটিস পাঠানোর দাবি কোর্টে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা ও শান্তিনিকেতন |
পাঠভবনের ছাত্রী ‘নির্যাতনে’র ঘটনায় বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার আবেদন হল হাইকোর্টে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে ছাত্রছাত্রীদের দৈহিক ও মানসিক শাস্তি নিষিদ্ধ হয়েছে ২০১০ সালে। তার পরেও রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের দৈহিক ও মানসিক শাস্তিদান বন্ধ হয়নি বলে একাধিক বার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্বভারতীর ঘটনাকে এর ‘সাম্প্রতিক উদাহরণ’ বলে মন্তব্য করে শুক্রবার আইনজীবী তাপস ভঞ্জ প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল এবং বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চের কাছে এই বিষয়টির উল্লেখ করেন। আচার্যের পাশাপাশি বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত, কর্মসচিব মণিমুকুট মিত্র এবং রাজ্যের শিক্ষা সচিব অর্ণব রায়কেও আদালত অবমাননার নোটিসের প্রতিলিপি পাঠানোর দাবি তোলেন ওই আইনজীবী। ডিভিশন বেঞ্চ প্রতিলিপি সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়ে বিধি অনুযায়ী আবেদন করতে বলেছে।
এ দিনই ছাত্রী ‘নির্যাতনে’র ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তনীদের সংগঠন ও আশ্রমিকদের একাংশ। তাঁরা এ দিন বিশ্বভারতী চত্বরে ওই দাবিতে সই সংগ্রহে নামেন। প্রাক্তনীদের পক্ষে পুলক চক্রবর্তী, হীরক মহাপাত্র, সুবোধ মিত্ররা বলেন, “এই নিন্দনীয় ঘটনাকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আড়াল করতে চাইছেন। তাই বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি।” গণস্বাক্ষর সংবলিত চিঠি তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে পাঠাবেন বলেও জানিয়েছেন প্রাক্তনীরা।
গোটা ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে এ দিন রিপোর্ট পাঠিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “রাজ্য শিক্ষা দফতর এবং শিশুকল্যাণ দফতরকে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।” জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বোলপুরের মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতি ওই ছাত্রী, তার পরিবার, বিশ্বভারতীর কর্মসচিব মণিমুকুট মিত্র এবং পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে ওই রিপোর্ট তৈরি করেছেন। যাকে ঘিরে এত শোরগোল, পঞ্চম শ্রেণির সেই ছাত্রী পাঠভবনে না ফেরার বিষয়ে অনড়। তার বাবা-মা মেয়ের ইচ্ছাকেই মর্যাদা দিতে চান। ছাত্রীটি যে মানসিক ধাক্কা খেয়েছে, তা কাটাতে তাকে মামাবাড়ি পাঠাতে চান বাবা-মা। এ দিনই উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়া থেকে ওই ছাত্রীর মামা এসেছেন তাকে নিয়ে যেতে। |