খুশি পরিবহণ ব্যবসায়ীরা
বনগাঁতেই মিলবে গাড়ির ‘ফিটনেস’ সংক্রান্ত শংসাপত্র
গাড়ির ফিটনেস সংক্রান্ত শংসাপত্র জোগাড় করকে বনগাঁর গাড়ির মালিকদের আর ছুটতে হবে না জেলা সদর বারাসতে। এখন থেকে বনগাঁ মহকুমাতেই এই শংসাপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হল। দীর্ঘদিন ধরেই বনগাঁয় মহকুমায় পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত গাড়ির মালিকেরা বনগাঁয় এই দফতর চালু করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেই দাবি পূরণ হওয়ায় তাঁরা খুশি।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর পরিবহণ দফতরের (আরটিও) বারাসতের অফিস থেকে গাড়ির ফিটনেস সংক্রান্ত শংসাপত্র সংগ্রহ করতে হত গাড়ির মালিকদের। বনগাঁ থেকে গিয়ে সেই শংসাপত্র সংগ্রহ করতে সারাদিন কেটে যেত। এ নিয়ে বহু ক্ষোভ-অভিযোগ ছিল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা আঞ্চলিক সংস্থার সদস্য গোপাল শেঠের উদ্যোগে বনগাঁর মিলনপল্লিতে পুরসভার ট্রাক টার্মিনাসে ওই ব্যবস্থা চালু হল। বৃহস্পতিবার ওই ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন বনগাঁর মহকুমাশাসক অভিজিৎ ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, পুরসভার চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আঢ্য, বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৌমেন দত্ত-সহ পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বিভন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
গোপালবাবু জানান, বারাসতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ির মালিকদের সমস্যা মিটত না। ফলে একাধিকবার যাওয়া-আসা করতে হত। বনগাঁ থেকে বার বার যাওয়া-আসায় গাড়ির মালিকদের সমস্যা হচ্ছিল। এ নিয়ে তাঁরা বেশ কয়েকবার অভিযোগও জানান এবং বনগাঁ থেকে যাতে ফিটনেস সংক্রান্ত শমসাপত্র দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করার দাবি জানান। তাঁদের সুবিধার কথা ভেবেই বনগাঁয় এই ব্যবস্থা চালু করা হল। কিছুদিনের মধ্যে চালকের লাইসেন্স প্রদান এবং গাড়ি সংক্রান্ত অন্যান্য কাজকর্মের ব্যবস্থা বনগাঁয় চালু করা হবে। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত পুরসভার ট্রাক টার্মিনাসে গাড়ির ফিটনেস সংক্রান্ত শংসাপত্র দেওয়া হবে। এ জন্য মোটর ভেহিক্যালস ইন্সপেক্টর সেখানে উপস্থিত থাকেবন। শংসাপত্রের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াও গাড়ির মালিকদের বনগাঁ পুরসভাকেও ফি দিতে হবে। পুর চেয়ারম্যান জ্যোৎস্নাদেবী বলেন, “আপাতত ট্রাক টার্মিনাসে শংসাপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা হলেও কিছুদিনের মধ্যে স্থানীয় আপনজনের মাঠে এর জন্য পাকাপাকি ব্যবস্থা করা হবে।”
পরিবহণ ব্যবসায় যুক্ত দিলীপ দীস, দেবব্রত মণ্ডল, অশোক দেবনাথরা বলেন, “বনগাঁয় প্রায় তিন হাজার ট্রাক রয়েছে। রয়েছে অন্যান্যযানবাহনও। প্রায় ৩০ হাজার পরিবার এই ব্যবসার উপরে নির্ভরশীল। বারাসতে আরটিও অফিসে গিয়ে ফিটনেস সংক্রান্ত শংসাপত্র সংগ্রহ করতে এতদিন গাড়িতে অনেক টাকার তেল খরচ হত। সেইসঙ্গে গোটা দিনটাই চলে যেত। এর ফলে এক দিন ব্যবসা বন্ধ রাখতে হত। এ বার আমরা সত্যিই উপকৃত হলাম।” পাশাপাশি পরিবহণ সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য, বনগাঁয় ট্রাকচালকের অভাবে কারণে খুবই সমস্যা হয়। বারাসতে গিয়ে চালক-লাইসেন্স আনতে তিন দিন লেগে যায়। আগামী দিনে বনগাঁ থেকেই যাতে এই সুবিধা পাওয়া যায় সে জন্য দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব এবং প্রয়োজনীয় কর্মীর অভাবে কিছু সমস্যা হচ্ছে। ফিটনেস সংক্রান্ত শংসাপত্র আনতে গিয়ে গাড়ির মালিকদের দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ার প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, “বনগাঁয় যাতে এ নিয়ে কোনও দুর্নীতি না হয় সে জন্য প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। তবে গাড়ির মালিকদেরও সজাগ থাকতে হবে।” মহকুমাশাসক বলেন, “কোনও দুর্নীতি হচ্ছে কি না, প্রশাসনের তরফে সে দিকে কড়া নজর রাখা হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.