সব বিতর্ক ঝেড়ে ফেলে এ বারের লন্ডন অলিম্পিক থেকে একটা পদক জিতে ফিরতে চান মহেশ ভূপতি। তাঁর সংগ্রহে গ্র্যান্ড স্লাম ট্রফির অভাব নেই। ডাবলসে টেনিসের প্রায় সব সম্মানই জেতা হয়ে গিয়েছে। নেই বলতে একটা অলিম্পিক পদক। আর মহেশ ভূপতি যেন সঙ্কল্প নিয়েছেন, এ বার লন্ডনে নিজের পঞ্চম অলিম্পিকে তাঁকে সেই অভাবটা পূরণ করতেই হবে।
২০০৪ আথেন্স অলিম্পিকে সেই পদকের খুব কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল মহেশকে। যখন লিয়েন্ডার পেজ ও তাঁর জুটি ব্রোঞ্জের ম্যাচে হেরে যান। “এক বার ওই জায়গায় পৌঁছে গেলে আর খালি হাতে ফিরব না,” এ দিন এক প্রচার অনুষ্ঠানের বলেন মহেশ। বোপান্নাকে নিয়ে তাঁর প্রস্তুতি যে ভাবে এগোচ্ছে তাতে মহেশ খুশি। বলেছেন, “গত সাত মাস একসঙ্গে খেলায় আমাদের বোঝাপড়া জমে গিয়েছে। রোহন ঘাসে দারুণ মানিয়ে নিয়েছে।” মহেশের মতে অলিম্পিকই টেনিসে ডাবলসের সবচেয়ে কঠিন টুর্নামেন্ট। লন্ডনে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসাবে ফেডেরার, নাদাল, মারে, ডকোভিচেরা থাকবে মনে করিয়ে মহেশ বলেছেন, “একটা ম্যাচও সহজ হবে না। তার উপর ঘাসের কোর্টে তিন সেটের লড়াই বলেই ভুলভ্রান্তির এতটুকু সুযোগ নেই। জীবনের সেরা টেনিস খেলতে না পারলে পদক আসবে না।” তবে শুধু নিজের আর বোপান্নার পদকের সম্ভাবনাই উজ্জ্বল দেখছেন না মহেশ। বলেছেন, “আমি নস্ত্রাদামুস নই ঠিকই। তবু বলব, এ বার টেনিসে পদক আসবে।” দল নির্বাচন ঘিরে বিতর্ক এবং লিয়েন্ডার পেজের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের তিক্ততা গোটা দলের উপর প্রভাব ফেলবে বলে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, সেটা ঝেড়ে ফেলছেন মহেশ। “অলিম্পিকে এ সব কিছুই প্রভাব ফেলবে না। আমরা প্রত্যেকে পেশাদার। মানসিক ভাবে সবাই ইতিমধ্যেই অলিম্পিকে ঢুকে পড়েছি।”
একটা অলিম্পিক পদকের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছেন। জীবনের পঞ্চম এবং হয়তো শেষ অলিম্পিকে সেই অপেক্ষা শেষ হবে, আশায় আটত্রিশের মহেশ।
এদিকে ভারতের অলিম্পিক অভিযান শুরুর আগেই পুরস্কার ঘোষণার পালা শুরু হয়েছে। ভারতীয় অলিম্পিক দলের এক স্পনসরের প্রতিশ্রুতি ছিল সোনা, রুপো ও ব্রোঞ্জজয়ীদের নগদ ২০, ১৫ ও ১০ লাখ টাকা দেওয়ার। বক্সিং দলের স্পনসর জানিয়ে দিল, সোনা-রুপো-ব্রোঞ্জজয়ীদের তারা ৫১, ২১ ও ১১ লাখ নগদ পুরস্কার দেবে। কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক ইতিমধ্যেই পদকজয়ীদের ৩০, ২০, ১৫ লাখ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। |