বেহাল সড়ক দেখার পর ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন মমতা
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক
ডুয়ার্সের রাস্তার হাল দেখে এ বার ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
ডুয়ার্সে বেহাল জাতীয় সড়ক দেখে সম্প্রতি নিজেই জনস্বার্থ মামলা করেছেন খোদ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল। এ বার মঙ্গলবার বাগডোগরা থেকে সড়ক পথে কোচবিহারে যাওয়ার সময়ে একাধিক রাস্তার ‘ভয়ঙ্কর দশা’ দেখে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনের নির্দেশ দিলেন। পাশাপাশি, তিনি রাজ্যের মুখ্য সচিবকেও অবিলম্বে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসারও নির্দেশ দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “নামে জাতীয় সড়ক হলেও অনেক জায়গায় রাস্তাগুলি মরণফাঁদের মতো হয়ে গিয়েছে। মানুষ প্রাণ হাতে করে যাতায়াত করছেন। কেন্দ্রকে বহুবার বলেছি। চিঠি দিয়েছি। তবুও টালবাহানা হচ্ছে। এটা চলতে পারে না। উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনা কোনও মতে মেনে নিতে পারব না। তাই সরকারি তরফে ফের চিঠি দেওয়া হবে। প্রতিনিধিদলও দিল্লিতে পাঠানো হবে। পাশাপাশি, দলের কর্মীদের কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনের নির্দেশ দিয়েছি।” দলনেত্রীর ওই নির্দেশ পেয়েই তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব উত্তরবঙ্গের সব কটি বেহাল জাতীয় সড়ক দ্রুত সারানোর দাবিতে আজ, বুধবার থেকে অবস্থান, বিক্ষোভ আন্দোলন ঘোষণা করেছেন।
গাজলে জাতীয় সড়ক অবরোধ। মঙ্গলবার মনোজ মুখোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।
গৌতমবাবু বলেছেন, “আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দুই মাইলের দফতরের সামনে অবস্থানে বসব। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাব। স্মারকলিপি দিয়ে জানিয়ে দেব, সাত দিনের মধ্যে বেহাল জাতীয় সড়ক সারানোর কাজ জোর গতিতে শুরু না-হলে বড় মাপের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।” সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বেহাল জাতীয় সড়ক মেরামতের দাবিতেও জনজীবন বিপর্যস্ত না-করে আন্দোলনের জন্য দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন গৌতমবাবু।
এদিন বাগডোগরা থেকে জলপাইগুড়ি পৌঁছনোর রাস্তায় ৩১ডি জাতীয় সড়কে বড় মাপের গর্ত দেখে বারেবারেই শিউরে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। জলপাইগুড়ি পৌঁছে প্রশাসনিক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে সরব হন। পরে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় সড়ক সারানো নিয়ে কবে থেকে টালবাহানা করছে কেন্দ্র। রাজ্যের হাতে এই কাজ থাকলে আমরা পূর্ত দফতরকে দিয়ে কবেই করিয়ে নিতাম। এবার কিন্তু ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। আমি মুখ্যসচিবকে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসতে বলেছি।” সোমবারেই বীরপাড়া-মাদারিহাট রাস্তা পুনর্নিমাণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য ২৮ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.