সংগ্রহশালা
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের স্মৃতিবিজরিত দার্জিলিঙের ‘স্টেপ অ্যাসাইড’ ভবনটিতে সম্প্রতি গড়ে উঠেছে একটি সংগ্রহশালা। অনেকগুলি কক্ষের এই সংগ্রহশালাটি সাজানো হয়েছে দেশবন্ধুর ব্যবহৃত আসবাব, সাদা-কালো অসংখ্য আলোকচিত্র, বক্তৃতার অংশবিশেষ নিয়ে। দোতলার প্রথম ঘরটিতে দেশবন্ধুর শেষ শয্যার ছবিটি সাজিয়ে রাখা আছে তাঁর ব্যবহৃত খাটের ওপর। আছে লেখার টেবিল, বইয়ের আলমারি, আয়না প্রভৃতি। পরের সুবিশাল কক্ষটিতে দেওয়ালে শোভা পাচ্ছে বিধান রায়, নিবেদিতা, পদ্মজা নাইডু, ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসার পর জগদীশচন্দ্র বসু ও অবলা বসু সহ প্রমুখের সাদা-কালো ছবি। টাঙিয়ে রাখা বক্তৃতার অংশবিশেষের মধ্যে রয়েছে ১৯২৩-এর কোয়েম্বাটুরের জনসভা, ওই বছরেরই তাঁর প্রথম মাদ্রাজ সফরের জনসভা, ১৯২৪-এর ১১ অগস্ট কলকাতায় অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় স্বরাজ পার্টির সভা, ১৯২৫-এ বিধান সভার শেষ ভাষণ, সরকারের পক্ষ থেকে লর্ড লিটনের আমন্ত্রণের প্রত্যুত্তর, প্রভৃতি।
ছবি: অনিতা দত্ত
এ বাড়িটিতে চিত্তরঞ্জনের সঙ্গে গাঁধীজি কিছু দিন কাটিয়ে গিয়েছেন। তৃতীয় কক্ষটিতে রয়েছে গাঁধীজির ব্যবহৃত আসবাব। নীচ তলায় প্রথম কক্ষে ঢুকতে তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনীটি নজর কাড়ে। চোখে পড়বে ‘মাল’ পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর প্রথম লেখা কবিতাটি। রয়েছে তরুণ বয়সের ছবিও। ১৯২৪-এ বাসন্তী দেবী, সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় প্রমুখের সঙ্গে তোলা পারিবারিক গ্রুপ ফটো। ১৮৯৪-এ বিলেত থেকে ফিরে আসার পরের ছবি, চিত্তরঞ্জনের বই পড়ার দৃশ্য, আলিপুর ষড়যন্ত্র মামলার বারীন্দ্রকুমার ঘোষ ও অরবিন্দ ঘোষের আলোকচিত্র। দেশবন্ধুর মৃত্যুর পর বিভিন্ন কাগজে প্রকাশিত সংবাদের অংশবিশেষ। কলকাতায় তাঁর শেষ যাত্রার দৃশ্য। ভেসে আসা রবীন্দ্রসঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গান সংগ্রহশালাটিতে অন্য আবহ রচনা করে।

মধুপুর ধাম
কোচবিহারের মধুপুর ধাম জেলার প্রাচীন ঐতিহ্যে উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। কোচবিহারের রাজা নরনারায়ণ এখানে মন্দিরটি স্থাপন করেন। খড়ের ছাউনি দেওয়া মন্দির পরে সংস্কার করেন মহারাজ বদ্রীনারায়ণ। ১৯৬৪-তে বর্তমান মন্দিরটি উদ্বোধন করেন মহারাজ জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ। সারা বছর এই মন্দিরে উৎসবের মেজাজ থাকে। বৈশাখ মাসে বিহু দিয়ে শুরু হয় উৎসব। মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে অর্থাৎ সরস্বতী পুজোর পর দিন থেকে প্রায় পক্ষ কাল ধরে চলে ‘মাঘী উৎসব’।
ছবি: শুভাশিষ দাস
উৎসবকে কেন্দ্র করে বিশাল মেলা বসে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে এখানে ভিড় জমান হাজার হাজার ভক্তপ্রাণ মানুষ। অসমিয়া মনীষী এখানে দেহ রাখেন। তাই মধুপুর ধাম শংকরদেবের মন্দির নামেও পরিচিত। তাই এই পুণ্য ধামে মেলে বাঙালি-অসমিয়া ধর্ম সংস্কৃতি।

অন্য রকম বাঁচা
তাঁর বেঁচে থাকাটা একটু অন্য রকম। সৃজনশীলতার মাঝে, সংস্কৃতির অঙ্গনে। চণ্ডীদাস চৌধুরী দিনাজপুর জেলার লোহাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক। চাকরি সূত্রে দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা। তিনি তাঁর স্কুলকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী গ্রামে ছড়িয়ে দিতে চাইলেন ক্রীড়া-সংস্কৃতির বার্তা। পার্শ্ববর্তী পাঁচহাটা, ডিকুল, মালিগাঁও, লোহাগঞ্জ, মহিপাল, বাগডুমা প্রভৃতি প্রান্তিক গ্রামে খেলাধূলোর এক আনন্দবন্যা বয়ে গেল। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলা, শরীরচর্চা থেকে শুরু করে ছাত্রাবাসের ছাত্রদের দৈনিক শরীর চর্চার আয়োজন করলেন। এদের কয়েক জন জেলা স্তরে খেলাধুলা করে। বর্তমানে তিনি আলপনা ও মাঠ সজ্জার কাজে ব্যস্ত। জেলার যেখানেই খেলাধূলো ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হয়, সেখানেই তিনি হাজির। ফুল, রং, কাঠের গুঁড়ো দিয়ে তিনি আলপনা এঁকে সাজিয়ে তোলেন মাঠ ও মাঠের প্রবেশদ্বার। যা অনেকেই ক্যামেরাবন্দি না করে পারেন না। বিভিন্ন বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তিনি এই ভাবে ছাত্রাবাসের ছাত্রদের নিয়ে দিন-রাত কাজ করেন। এ সবের পাশাপাশি তাঁর গাছপালার প্রতি প্রগাঢ় ভালবাসা। তাই বিদ্যালয়ের আনাচ-কানাচ ভরিয়ে তুলেছেন হরেক গাছে।

ছি ছি বৃন্দে
ছবি: শোভন দে
‘ছি ছি বৃন্দে তোমার লজ্জা হল না, রাখালের স্বভাব তোমার গেল না’ এ সব গান গেয়ে রাধা-কৃষ্ণ সেজে এক দল ছোট ছেলে ও মেয়ের দল দোলযাত্রার দিন বাড়ি বাড়ি নাচ দেখিয়ে বেড়ায়। কয়েক জনের হাতে বাদ্যযন্ত্র, খোল, করতাল। এক জন গায়, সঙ্গে সঙ্গে সকলে সুর মেলায়। রাধার হাতে থালায় থাকে আবির। সেটা তুলসি তলায় ও বাড়ির সকলের কপালে দেওয়া হয়। বাড়ির লোক সেই থালায় টাকা পয়সা দেয়। চালের থলিতে চাল ও আলু দেয়। কৃষ্ণ ও রাধার সঙ্গে সখিরাও নাচে। সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরে চাল ও আলু দিয়ে মনের আনন্দে বনভোজন করে।

রাঁধুনি
সূর্যকান্ত রায় থেকে কখন সূর্যদা হয়ে গেছেন, নিজেই জানেন না। সত্তর ছুঁই ছুঁই সূর্যকান্ত রায়ের পোলাও-মাংস দিনহাটার অতি প্রিয়। সন্ধ্যায় অনেকে রসনাকে তৃপ্ত করেন সূর্যর পোলাও-মাংসে। বেশি দূর পড়তে পারেননি। ৫০ বছর এ পেশায় থেকে সংসার চালাচ্ছেন। সবই নিজের হাতে তৈরি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.