পেশায় শিক্ষক সাহিত্যসেবী ও লোকসংস্কৃতি গবেষক শচীমোহন বর্মনের উদ্যোগে গঠিত ‘মুক্তচিন্তা’ সাহিত্যের স্কুল ও অনুশীলন কেন্দ্রের নবম বর্ষ প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হল। মেখলিগঞ্জের ভোটবাড়িতে সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৯ জুন ওই অনুষ্ঠান হয়। নিজের উপার্জনের অর্থে শচীমোহনের তৈরি মুক্তচিন্তা ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন, লোকসঙ্গীত অ্যাকাডেমি, লোকসঙ্গীত চর্চা কেন্দ্র, লোকসংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র, উত্তরবঙ্গের জীবন ও সংস্কৃতি কর্মশালা, পুতুল নাটক সংগ্রহশালা ও সংকেত নাট্য সংস্থা। লোকসঙ্গীত ও লোকবাদ্যে দক্ষ শচীমোহন সম্পাদনা করে চলেছেন নানা পত্র-পত্রিকা। একাধিক ছোটদের স্কুলে শিশুদের সাংস্কৃচিক মননের বিকাশের কাজও করে চলেছেন তিনি। এবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ও গবেষক আনন্দগোপাল ঘোষ, লোকসংস্কৃতি গবেষক চন্দন পাল, রামাবতার শর্মা সহ অনেকেই। সম্বর্ধনা দেওয়া হয় শায়েরী অসিত সরকারকে। কবিতায় পুরস্কৃত হন নদীয়ার শঙ্করী ভৌমিক। বেতার শিল্পী অভয় রায়ের গান দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উৎসবের প্রধান আকর্ষণ ছিল মুক্তচিন্তার মহিলা শিল্পীদের নিবেদন ‘পদ্মপুরাণ’। নজর কেড়েছে জলপাইগুড়ি সৃষ্টি মাইমের অনুষ্ঠান।
|
পরিবেশ বিষয়ক পত্রিকা প্রকাশ হল শিলিগুড়িতে। বালুরঘাটের পরিবেশকর্মী তুহিনশুভ্র মণ্ডলের উদ্যোগে পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়েছে। পত্রিকার নাম, ‘উত্তরপত্র’। সম্প্রতি শিলিগুড়ি জার্নালিস্টস ক্লাবে পত্রিকার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র অনিমেষ বসু। প্রথম সংখ্যায় উত্তরবঙ্গের নদীগুলির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে লেখা রয়েছে।
|
তৃতীয় কবিতার বই প্রকাশ করলেন প্রকাশ শাসমল। শিলিগুড়িতে প্রায় ৪ দশক ধরে একটি ছোট সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করছেন প্রকাশবাবু। আগে দুটি কবিতার বইও প্রকাশিত হয়েছে।
|
আজারবাইজানের বাকুতে গিয়ে বেহালা বাজিয়ে শুনিয়ে দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মুগ্ধ করলেন শিলিগুড়ির অঙ্কিতা সাহা। অঙ্কিতা শিলিগুড়ি কলেজের ছাত্রী। তাঁর কৃতিত্বে শুধু কলেজ নয়, শিলিগুড়িবাসীও উচ্ছ্বসিত। বিশেষত, প্রায় ২ বছর ধরে শিলিগুড়ি কলেজের জাতীয় সেবা প্রকল্পের (এনএসএস) স্বেচ্ছাসেবকদের সাংস্কৃতিক বিকাশের লক্ষ্যে যিনি কাজ করে চলেছেন, সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বিদ্যাবতী অগ্রবালও উচ্ছ্বসিত। ২০১০ সালে বিদ্যাবতী দেবী কলেজের এনএসএসের দায়িত্ব নেন। তার পর থেকে এনএসএসের স্বেচ্ছাসেবকদের গ্রামীণ এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধি, এইডস, পালস পোলিও ও নানা সামাজিক সমস্যার পাশে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে শিলিগুড়ি সহ পাহাড়ে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পরে এনএসএসের স্বেচ্ছাসেবকদের ঝাঁপিয়ে পড়ার কাজে উদ্বুব্ধ করেন বিদ্যা দেবী। পাশাপাশি, এনএসএসের আওতায় থাকা ছাত্রছাত্রীদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের দিকেও বাড়তি নজরদারি করছেন বিদ্যা দেবী। সেই সুবাদেই শিলিগুড়ির অঙ্কিতার বেহালায় সুর তোলার দক্ষতা নজরে পড়ে তাঁর। তাঁর উদ্যোগেই অঙ্কিতা কলকাতা হয়ে দেশের রাজধানীতে গিয়ে নজর কেড়ে নেয়। কিছুদিন আগে অঙ্কিতা আজারবাইজানে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম’-এ প্রতিনিধিত্ব করার ডাক পান। বিদেশের অনুষ্ঠান সেরে শুক্রবার অঙ্কিতা শিলিগুড়ি ফিরেছেন। আগামী, সোমবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স হলে অঙ্কিতাকে সম্বর্ধনা দেবেন উপাচার্য সমীর দাস। ঘটনাচক্রে, সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের এনএসএসের কাজকর্মে ধারাবাহিক অবদানের জন্য চলতি বছরে বিশেষ সম্মান পেয়েছেন বিদ্যা দেবীও। তাই এনএসএসের ব্যাপারে শিলিগুড়ি কলেজ ও উত্তরবঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মহলেই খুশির পরিবেশ।
|