|
|
|
|
কেন্দ্রীয় ঋণের সুদ স্থগিত, প্রস্তাবে সায় নেই বামেদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কেন্দ্রীয় ঋণের সুদের টাকা তিন বছরের জন্য স্থগিত (মোরাটোরিয়াম) করার সরকারি প্রস্তাব বামেরা সমর্থন করবে না। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বুধবার স্পষ্ট এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভায় ওই প্রস্তাব পেশ করার কথা। তৃণমূল শিবির মনে করছে, ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করলে সিপিএম রাজ্যের মানুষের ‘কাঠগড়া’য় উঠবে।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বদল বৈঠক ডাকার আবেদন জানিয়েছিল বামফ্রন্ট। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তা প্রত্যাখ্যান করে নিজেই বাজার পরিদর্শনে নামেন। এ বার রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে দরবার করার জন্য সর্বদল প্রস্তাবে বামেরা ‘না’ করতে চলেছে। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছিলেন, সর্বদলের প্রস্তাবের বয়ান দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বুধবার সূর্যবাবু বলেন, “তিন বছরের মোরাটোরিয়াম মানে বর্তমান সরকার সুদ মেটাবে না। পাঁচ বছর পর যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, সুদ তার ঘাড়ে চাপবে। আমরা এর বিরুদ্ধে।” ভারতে সাংবিধানিক কাঠামোয় সুদের টাকার উপরে মোরাটোরিয়াম করা যায় না জানিয়ে সূর্যবাবু বলেন, “রাজ্যে ৩৫৫ ধারা (আর্থিক জরুরি পরিস্থিতি) জারি করা হলে মোরাটোরিয়ামের কথা ভাবা যেতে পারে।” সরকারি প্রস্তাব তাঁরা সমর্থন করবেন? এই প্রশ্ন কৌশলগত ভাবে এড়িয়ে গিয়ে সূর্যবাবু বলেন, “ওঁরা প্রস্তাব পেশ করুন। তা দেখেই যা বলার বলব।” বাম পরিষদীয় দল সূত্রের খবর, যেহেতু বাম আমলে নেওয়া বিপুল ঋণের কথা উল্লেখ করে ওই প্রস্তাব নেওয়া হচ্ছে, তাই বামেরা তা সমর্থন করার পক্ষপাতী নয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বার বার বলছেন, বাম আমলে ঋণের দায়ে বর্তমান সরকারের এই বেহাল আর্থিক দশা। সূর্যবাবু কার্যত তার প্রতিবাদ করে বলেন, “আমাদের সময় মোট ঋণের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান ছিল তৃতীয়। কিন্তু এক বছরের মধ্যে তা প্রথম স্থানে পৌঁছেছে। বাজার থেকে ঋণ সংগ্রহেও এই সরকার গোটা দেশে রেকর্ড করেছে।” তাঁদের সময় মাথাপিছু ঋণের ক্ষেত্রে এ রাজ্যের অবস্থান সর্বভারতীয় ভাবে ১৩ তম ছিল জানিয়ে সূর্যবাবু বলেন, “এখন তা আরও এগিয়ে এসেছে। অথচ, এই সময়ে এই রাজ্য সরকার ৮ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সাহায্য পেয়েছে।” |
|
|
|
|
|