নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পিঙ্কি প্রামাণিকের উপরে অমানবিক অত্যাচারের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে বিচার করা হবে বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার তিনি বলেন, “মঙ্গলবার কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগের গুরুত্ব বুঝেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি, এবং স্বাস্থ্যসচিবকে এ ব্যাপারে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। সকলকেই ১৫ দিনের রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।”
লিঙ্গ পরীক্ষার নামে পিঙ্কির উপরে মানসিক অত্যাচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে মঙ্গলবার মানবাধিকার কমিশনকে চিঠি দিয়েছে একটি মানবাধিকার সংগঠন। মহিলা বন্দিদের সঙ্গে বা আলাদা সেলে না-রেখে পিঙ্কিকে কেন পুরুষ বন্দিদের সঙ্গে রাখা হয়েছে, সেই প্রশ্নও তুলেছে তারা। সংগঠন জানায়, পরীক্ষা চলাকালীন পিঙ্কির উলঙ্গ ছবি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশের হেফাজতে থাকা জাতীয় স্তরের ওই অ্যাথলিটের মেডিক্যাল পরীক্ষার ছবি কী ভাবে বাইরে আসে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ওই সংগঠন।
কমিশনের চেয়ারম্যান বুধবার বলেন, “লিঙ্গ নির্ধারণের আগেই ওই অ্যাথলিটকে পুরুষদের সঙ্গে রাখা হয়েছিল বলে যে-অভিযোগ উঠেছে, তার কারণ জানতে চেয়েছি আমরা।” পিঙ্কির বিষয়টি নিয়ে বিধানসভাতেও সরব হন বাঘমুন্ডির কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো। পিঙ্কির বাড়ি ওই বিধানসভা এলাকাতেই। যে-ভাবে পিঙ্কির উপরে ‘অত্যাচার’ হচ্ছে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন নেপালবাবু। বলেন, পিঙ্কি পুরুষ কি না, তা প্রমাণসাপেক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ কতটা সত্য, বিচার বিভাগই তা বলবে। আইন আইনের পথে চলুক।
পিঙ্কিকে পুরুষ আখ্যা দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, প্রতারণা-সহ নানা অভিযোগ এনেছেন বাগুইআটির এক মহিলা। তার পর থেকে লিঙ্গ নির্ধারণের নামে পিঙ্কিকে নিয়ে টানাপোড়েন চলেছে। নেপালবাবুর আর্জি, “এসএসকেএমের তাবড় ডাক্তারেরাও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। এই অবস্থায় বারবার জেল-হাজতে না-পাঠিয়ে পিঙ্কির নিজের বাড়িকে বিশেষ জেলে রূপান্তরিত করে সোনাজয়ী অ্যাথলিটকে সেখানেই রাখা হোক।” |