|
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি |
নতুন কণার ঠিকুজি |
|
|
কী পাওয়া গেল?
একটা কণা। যা অন্য কণাকে ভর জোগায়।
এটা কি সেই ঈশ্বর কণা, যা খোঁজা হচ্ছিল?
সেই জাতের, কিন্তু একেবারে সেই কণাটিই নয়।
ঈশ্বর কণার সঙ্গে এর তফাত?
ভরের দিক থেকে এটা ঈশ্বর কণার কাছাকাছি, কিন্তু চরিত্রে আলাদা হলেও হতে পারে।
হতে পারে মানে?
ঈশ্বর কণার চরিত্রের সঙ্গে এর পুরো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। কতটা আলাদা, তা-ও এখনও বোঝা যায়নি।
ঈশ্বর কণা জিনিসটা কী?
সেটিও ভর জোগানোর কণা। |
|
নামের মধ্যে ঈশ্বর কেন?
পদার্থবিদ্যায় এর গুরুত্ব বোঝাতে নামের মধ্যে ‘ঈশ্বর’ আমদানি করেন নোবেলজয়ী লিও লেডারম্যান। কণাটির বৈজ্ঞানিক নাম হিগস বোসন।
এই নামের ব্যাখ্যা?
কণাটির অস্তিত্ব প্রথম অনুমান করেন পিটার হিগস। উপাধি ‘বোসন’ এসেছে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নাম থেকে।
কেন?
১৯২৪ সালে আলবার্ট আইনস্টাইন এবং সত্যেন্দ্রনাথ ওই বিশেষ জাতের কণার ধর্ম ব্যাখ্যা করেছিলেন।
যে কণাটির চিহ্ন পাওয়া গেল, তা কি বোসন?
এটি অবশ্যই বোসন গোত্রের কণা।
হিগস এমন কণার কথা কবে প্রথম বলেন?
১৯৬৪ সালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে।
হিগস বোসন ঘিরে কেন এত মাতামাতি?
ঈশ্বর কণা বা ওই জাতের কিছু না থাকলে পদার্থবিদ্যার সব চেয়ে বড় তত্ত্ব অচল। যেন মুণ্ডহীন ধড়।
কেন?
বিশ্বের অধিকাংশ কণা ভরযুক্ত। আর সেই ভর জোগায় ঈশ্বর কণা বা তার মতো কিছু।
ভর না থাকলে ক্ষতি কী?
ভরহীন হলে, সব কণা ছুটত আলোর বেগে। একাধিক কণা মিলে তৈরি হত না অণু-পরমাণু। থাকত না গ্রহ-নক্ষত্র। মানুষ তো দূরের কথা।
|
ঈশ্বর পরিক্রমা |
|
১৯২৪: সত্যেন্দ্রনাথ বসু এবং আলবার্ট
আইনস্টাইন চেনালেন বোসন জাতের কণা। |
|
|
|
১৯৬৪: পদার্থের ভর সৃষ্টিকারী বিশেষ বোসন
কণার অস্তিত্ব কল্পনা করলেন পিটার হিগস। |
|
|
২০০১: ওই কণার খোঁজ শুরু হল ফের্মিল্যাব-এর টেভাট্রন যন্ত্রে। |
|
|
২০০৮: প্রতিযোগিতায় নামল সার্ন গবেষণাগারে লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার। |
|
|
২০১১: সার্ন জানাল, কণার নিজের ভর কী মাপের হতে পারে। |
|
২০১২: সার্নের ঘোষণা, হুবহু
হিগস-কল্পিত কণা না হলেও
ওই রকমই এক বোসন পাওয়া গিয়েছে। |
|
|
পিটার হিগস: অবিশ্বাস্য, আমার জীবদ্দশাতেই এটা ঘটল! |
|