এত দিন জঙ্গিপুর পুরসভা এলাকায় ছিল খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের মহকুমা কার্যালয়, ছিল মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের কার্যালয়, ছিল বন দফতরের মহকুমা কার্যালয়। কিন্তু ওই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয় পুরসভা এলাকা থেকে পঞ্চায়েত এলাকার গোপালনগরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ফলে শহরের মানুষ অসুবিধায় পড়েছে। অথচ একই ছাদের তলায় সরকারি কার্যালয় গুলিকে রাখার জন্য মহকুমা আদালত চত্বর লাগোয়া এলাকায় মহকুমার কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করে হয়েছে। গোপালনগরে স্থানান্তরিত করা ওই সরকরি কার্যালয়গুলির সেখানে কেন জায়গা হবে না?
কাশীনাথ ভকত, রঘুনাথগঞ্জ
|
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর জঙ্গিপুর মহকুমার আহিরণ ও সুজনিপাড়ার মাঝখানে ফিডার ক্যানালে একটি ব্রিজ রয়েছে। তার উপর দিয়ে চলে গিয়েছে রেলপথ এবং জাতীয় সড়ক। স্থানীয় লোকজনের মুখে সেটি ‘গঙ্গাব্রিজ’। ওই ব্রিজটির কোনও পোশাকি নাম রয়েছে কিনা খুঁজতে গিয়ে দেখলাম, লতায়পতায় আকীর্ণ বহুকালের জরাজীর্ণ একটি ফলক রয়েছে ওই ব্রিজের কাছে। তার উপর লেখা রয়েছে ‘ভগবতী হরিদাসী ব্রিজ’। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সংযোগকারী রেলপথ ও সড়কপথ যে সেতুটির উপর দিয়ে গিয়েছে সেটি যাঁর নামাঙ্কিত তাঁর সম্বন্ধে স্থানীয় মানুষজন কিছুই বলতে পারেননি। ওই মহিলা যদি অজ্ঞাত বা বিস্মৃত পরিচয় হন তবে দাদাঠাকুর, অথবা এলাকার অন্যকোনও বিখ্যাত মানুষের নামে ওই ব্রিজটির নামকরণ করা যেতে পারে যাঁর সঙ্গে এলাকার ‘আইডেন্টিটি’ জড়িয়ে থাকবে।
সাধন দাস, ভৈরবটোলা-লবনচোঁয়া |