ব্রেক কষে বাঁচালেন চালক
চালকের তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন এক বধূ ও তাঁর দুই শিশুসন্তান। বুধবার ঘটনাটি ঘটে আদ্রা ডিভিশনের আনাড়া স্টেশনের কাছে। গুরুতর জখম হয়েছেন করুণা মাহাতো নামের ওই বধূ। মাথায় চোট পেয়েছে তাঁর তিন বছরের মেয়ে নিশা। দু’জনেই আদ্রা রেল হাসপাতালে ভর্তি। আদ্রার ডিআরএম অমিতকুমার হালদার জানান, চালক জরুরি ব্রেক না কষলে মৃত্যুও হতে পারত মা ও দুই সন্তানের।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ আনাড়া ও বাগালিয়া স্টেশনের মাঝে পাড়া থানার ফুসড়াবাইদ গ্রামের কাছে দুই সন্তানকে নিয়ে রেললাইন পেরোচ্ছিলেন ফুসড়াবাইদের বাসিন্দা করুণা। তখন পুরুলিয়ার দিক থেকে আসছিল টাটা- দানাপুর এক্সপ্রেস। হাসপাতালে শুয়ে বছর পঁচিশের করুণা জানান, জমিতে ধানের চারা রোপণ করে বাড়ি ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিল মেয়ে নিশা ও দেড় বছরের ছেলে কাঞ্চন। করুণার কথায়, “ট্রেনটাকে দেখতে পেলেও ভেবেছিলাম লাইন পেরিয়ে যাব। ওই সময়েই লাইনের পাথরে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় নিশা। ওকে তুলতে কোলে থাকা কাঞ্চনকে নিয়েই লাইনের উপরে বসে পড়েছিলাম। খেয়াল করিনি ট্রেন একদম কাছে চলে এসেছে।”
রেলসূত্রে জানা যাচ্ছে, চালক জরুরি ব্রেক কষে ট্রেনটিকে দাঁড় করাতে পারলেও ইঞ্জিনের সামনের কাউক্যাচারের ধাক্কায় জখম হন ওই করুণা ও তাঁর মেয়ে। ধাক্কার চোটে মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়েও জখম হয়নি ছোট্ট কাঞ্চন। আরপিএফের আনাড়া থানার ওসি সৌরভ দত্ত বলেন “আনাড়া স্টেশনে ট্রেনটির চালক এস গাজি মেমোতে জানিয়েছেন, আচমকাই দুই সন্তানকে নিয়ে এক মহিলা রেললাইনের উপরে বসে পড়েছিলেন।” ডিআরএম বলেন, “চলন্ত অবস্থায় জরুরি ব্রেক কষলে ট্রেনের বেলাইন হওয়ার সম্ভবনা থাকে। কিছুটা ঝুঁকি নিয়েই এ দিন জরুরি ব্রেক কষেছিলেন টাটা-দানাপুর এক্সপ্রেসের চালক। চালকের দক্ষতাতেই বেঁচেছেন ওই তিন জন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.