এক ব্যবসায়ীকে নিজের হোটেল থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে খুন করে রেললাইনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর থানার ঘরধাপ্পা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে রেললাইনের ধারে ওই ব্যবসায়ীর ছিন্নভিন্ন দেহ মিলেছে। এলাকার বাসিন্দারা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক রাস্তা অবরোধ করে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যবসায়ীর নাম মুকেশ সিংহ (৩২)। বাড়ি গোয়ালপোখর থানার পাঞ্জিপাড়ার শান্তিনগর এলাকায়। ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে নিহতের পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁরা খুনের অভিযোগ করেছেন। তদন্তে নেমে একটি ছোট গাড়ি ও একটি ধারাল অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।” কিন্তু কী কারণে তাঁকে খুন করা হতে পারে, তা পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে পুরানো শত্রুতার পাশাপাশি এলাকায় তোলাবাজির কর্তৃত্ব নিয়ে রেষারেষির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে কি না তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পুলিশ জানিয়েছে, সোমরার রাতে ১০ জনের এক দুষ্কৃতী দল মুকেশ বাবুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে শান্তিনগর এলাকার হোটেল থেকে অপহরণ করে। হোটেলের কর্মচারীরা ও পরিবারের লোকেরা পুলিশকে ফোন করে অভিযোগ জানান। কিন্তু রাতে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এদিন সকালে স্থানীয় মুকেশবাবুর দেহ মেলে। তার পরেই শুরু হয় অবরোধ। পুলিশ গিয়ে বুঝিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।
ওই ব্যবসায়ীর দাদা অনিলবাবু বলেন, “এদিন ব্যবসার কাজে শিলিগুড়ি ছিলাম। ফিরে জানতে পারি এলাকার তিন দুষ্কৃতীর নেতৃত্বে ১০ জন ৩টি গাড়িতে হোটেলে চড়াও হয়ে ভাইকে তুলে নিয়ে গিয়েছে।” খবর দিলেও পুলিশ আসেনি বলে তাঁর অভিযোগ। অনিলবাবুর দাবি, “সঙ্গে সঙ্গে খোঁজ শুরু হলে এ ধরনের বড় ঘটনা এড়ানো যেতে পারত।” |