পাহাড়ে টানা বর্ষণে নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় তুফানগঞ্জ ও কোচবিহার সদর মহকুমার তিনটি ব্লকে ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তুফানগঞ্জ-১, ২ ও কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা মঙ্গলবার দুপুরে প্লাবিত হয়ে পড়ে। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি বাসিন্দা তুফানগঞ্জ-১ ব্লকে জলবন্দি হয়ে রয়েছেন। ইতিমধ্যে ১১ টি ত্রাণ শিবিরে বহু পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। তুফানগঞ্জে কালজানি নদীর জল লাল সতর্কতার সামান্য নীচে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ওই মহকুমায় রায়ডাক নদীতেও হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেলার তোর্সা, গদাধর, মানসাই-সহ অন্য নদীও ফুঁসছে। ফলে প্রশাসনের উদ্বেগ বেড়েছে। এদিন পরিস্থিতি সরোজমিনে খতিয়ে দেখতে তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের বালাভূত ও লাগোয়া বিভিন্ন দুর্গত এলাকায় যান কোচবিহারের জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা। বিএসএফের বোটে জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের কর্তারা ওই সব এলাকা ঘুরে দুর্গত বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।
কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “জেলার তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের কিছু এলাকায় জল ঢুকেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমি নিজেও এদিন বালাভূত ঘুরে এসেছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।” প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে কালজানি ও তোর্সার জল উপচে বালাভূতের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। কয়েকঘন্টার মধ্যে চর বালাভূত, মধ্যবালাভূত, ঝাউকুঠির ৫ হাজারের বেশি মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েন। ওই ব্লকের ধলপলের শিকদারেরখাতা, নাটাবাড়ির ভুচুংমারি,নাককাটিগছ, অন্দরাণফুলবাড়ির বিভিন্ন এলাকাও প্লাবিত হয়ে পড়েছে। তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের বিডিও তাপস সিংহ রায় বলেন, “১৫ হাজারের বেশি মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। দুপুর নাগাদ ওই সব এলাকায় নদীর পাড় উপচে জল ঢুকে পড়ে। ৮ টি ত্রাণ শিবিরে সন্ধ্যা পর্যন্ত আড়াইশো পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।” কোচবিহার সদরের মহকুমা শাসক সুপর্ণ কুমার রায়চৌধুরী বলেন, “কোচবিহার-২ ব্লকের খাপাইডাঙার বিস্তীর্ণ এলাকায় কালজানির জল ঢুকেছে। বেশ কিছু পরিবার ৩ টি ত্রাণ শিবিরে উঠেছেন।” |