সোমবার সন্ধ্যায় টানা কয়েক ঘণ্টার প্রবল বর্ষণে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকা। শোভাগঞ্জে ঝড়ে গাছ পড়ে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২ জন। কালাজানি নদী বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। তোর্সা ও রায়ডাক-১ কে জারি করা হয়েছে হলুদ সঙ্কেত। আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক অমলকান্তি রায় জানান ঝড়ে গাছ পড়ে ঘর ভেঙ্গে পুর্ণিমা মণিদাস (৬) নামে এক শিশুর মৃতু্ হয়েছে। শোভাগঞ্জে একটি গাছ সূর্য মণিদাসের ঘরের উপর ভেঙে পড়ে। ঘটনার জেরে আহত হন সূর্য মণিদাস ও তার বড় মেয়ে রুম্পা মণিদাস। তাঁদের আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতলে ভর্তি করানো হয়েছে।
পাশাপাশি, আলিপুরদুয়ার শহরের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির জল জমে গিয়েছে। শহর সংলগ্ন কালজানি ও ডিমা নদীর বাধের গায়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। তা মেরামতির কাজ চলছে বলে সেচদফতরের আলিপুরদুয়ারের সহকারী বাস্তুকার নরেশ চন্দ্র রায় জানান।
সোমবার থেকে মঙ্গলবার সকাল পযর্ন্ত গত ২৪ ঘন্টায় আলিপুরদুয়ারে ১২৬.২০ মিলিমিটার ও হাসিমারাতে ১২৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। গত বছর আলিপুরদুয়ারে ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। সমতল ও পাহাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় সমস্ত নদীর জল বাড়ায় বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাছে কালজানি নদীর জলের তোড়ে বাঁধে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে শহরের ৮ ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগ স্থলে ডিমানদীর বাঁধেও ফাটল দেখা দিয়েছে।
আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় জানান কালজানি নদীর জল বেড়ে গিয়েছে। সে জন্য শহরের নিকাশির গেট গুলি খোলা যাচ্ছে না। কালজানির চরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড , ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নদীর জল ঢুকে পড়েছে।
এলাকায় পলিথিন ও শুকনো খবার বিলির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কালচিনি ব্লকের বিডিও জানান রাজাভাতখাওয়ার পানা বস্তিতে জল ঢুকছে ও নিমতি থেকে কালচিনি যাবার রাস্তায় গাছ পড়ে এদিন দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ ছিল। |