‘ভুয়ো’ প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজার থেকে কয়েক কোটি টাকা তোলার অভিযোগ ছিল দমদমের একটি বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে। ওই সংস্থারই এক এজেন্টের অভিযোগের ভিত্তিতে ধরা পড়লেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর-সহ ৭ জন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই সংস্থাটি দমদমের পাশাপাশি শাখা অফিস খুলেছিল শিলিগুড়ি ও বারাসতেও। সংস্থার এক এজেন্ট বাজার থেকে টাকা তোলার কাজ করতে গিয়ে কিছু বেনিয়ম দেখে কাগজপত্র-সহ বিষয়টি দমদম থানায় জানান। এর পরেই প্রতারণার অভিযোগে দমদম থেকে ধরা হয় সংস্থার এমডি ধনঞ্জয় অধিকারী-সহ পাঁচ জনকে। শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার হন সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর দীপঙ্কর মজুমদার ও সংশ্লিষ্ট শাখার ম্যানেজার শঙ্কর সাহা। ওই সংস্থা আরও শাখা খুলেছে কি না, দেখছে পুলিশ।
দীপঙ্করের বাড়ি বনগাঁয়। তিনি শিলিগুড়ির পূর্ব বিবেকানন্দপল্লিতে ভাড়া থাকতেন। শঙ্কর শিলিগুড়ির সুকান্তনগর এলাকার বাসিন্দা। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রাজা বলেন, “দমদম পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়েছি। মূল মামলাটি দমদম থানায় হয়েছে। শিলিগুড়িতে এখনও কোনও অভিযোগ না হলেও আমরা তদন্ত শুরু করেছি।” ধৃত দীপঙ্কর ও শঙ্করকে মঙ্গলবার শিলিগুড়ি আদালতে হাজির করায় দমদম থানার পুলিশ। বিচারক তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ড দেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, মূলত গুঁড়ো সাবানের প্রস্তুতকারক সংস্থা হিসাবে দমদম রোডের বাণীমন্দিরের কাছে একটি অফিস খোলে সংস্থাটি। তারা জাহাজ, বিমান, হাসপাতাল, চা বাগান কিনতে চলেছে, এই প্রচার করে বাজার থেকে টাকা তুলতে শুরু করে। এ রাজ্যে একাধিক হাসপাতাল তৈরির কথাও বলা হয়। এই সংস্থায় টাকা বিনিয়োগ করলে গ্রাহকেরা দ্রুত লাভবান হবেন বলেও দাবি করে সংস্থাটি। ওয়েবসাইটে সংস্থার তরফে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, একশো টাকা বিনিয়োগ করলে এক বছরে ১৩০০ টাকা ফেরত দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছে ওই সংস্থা। অনেক এজেন্টও নিয়োগ করে। এ ভাবে শুধু দমদম শাখা থেকেই সংস্থাটি কয়েক কোটি টাকা তুলে ফেলেছিল বলে পুলিশের দাবি। কিছু গ্রাহককে সংস্থাটি নগদ টাকা ও জিনিসপত্র দিয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ গ্রাহকেরই টাকা মার গিয়েছে বলে অভিযোগ। |