এক দিকে সীমান্ত লাগোয়া করিমপুরে ঢেলে সাজানো হচ্ছে নিকাশি ব্যবস্থা। অন্য দিকে আকাশে মেঘ দেখলেই কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়ছে খোদ তেহট্ট মহকুমা সদরের বাসিন্দাদের। করিমপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তাদের দাবি ইতিমধ্যে নিকাশির প্রায় পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি কাজ হয়ে গিয়েছে। পুরোদমে বর্ষা নামার আগে বাকি কাজও শেষ হয়ে যাবে। অথচ এ বারের বর্ষাতেও খোদ তেহট্ট মহকুমা সদরের নিকাশি ব্যবস্থা থেকে গেল সেই আগের মতোই।
তেহট্টের সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বর্ষা শুরু হয়ে গেল অথচ এখনও পর্যন্ত এলাকার বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার হাল ফেরানোর কোনও উদ্যোগই নিল না স্থানীয় প্রশাসন। অন্যান্যবারের মতোই সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমতে শুরু করেছে তেহট্টের বিভিন্ন রাস্তায়। জল নিকাশের কোন ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার উপরেই জল জমে যাচ্ছে। নোংরা জল, আবর্জনা মাড়িয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। কিন্তু মহকুমা সদরের নিকাশি এমন বেহাল কেন? |
তেহট্ট পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কংগ্রেসের সঞ্জিত ঘোষ কোন রাখঢাক না রেখেই বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই এই অবস্থা। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাগুলোতে জল জমে যাচ্ছে। তবে তেহট্ট বাজার ও চাতরপাড়া এলাকার নালা সংস্কারের কাজ আমরা শুরু করেছি আর সত্যি কথা বলতে নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে গেলে যে পরিমাণ অর্থ দরকার তা আমাদের পঞ্চায়েতের হাতে নেই। ফলে পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে যতটুকু কাজ করা যায় আমরা করছি।’’
তেহট্ট পঞ্চায়েতের সামনে থেকে চাতরপাড়া যাওয়ার রাস্তাটিতে সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে যায় অথচ তেহট্ট হাসপাতাল, মহকুমাশাসকের অফিস যাওয়ার ক্ষেত্রে এটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। পুরনো এসডিও অফিসের মোড় ও থানার সামনের নালাগুলোও প্রায় বন্ধ। জল জমছে ওই এলাকাতেও। এ ছাড়াও তেহট্ট বড়মোড় থেকে জিপুর মোড় পর্যন্ত রাস্তাতে এত বেশি গর্ত যে বৃষ্টির পর কার্যত নালার চেহারা নেয়। ওই রাস্তা ফলে এখনও পর্যন্ত যা অবস্থা তাতে প্রতিবারের মত এবারেও বর্ষাতেও তেহট্টের মানুষের কপালে ভোগান্তি আছে।
তেহট্টের মহকুমাশাসক অচিন্ত্যকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘স্থানীয় পঞ্চায়েতের নালাগুলোকে সংস্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে জল জমে না থেকে অন্তত সেদিক দিয়ে নেমে যেতে পারে তবে তেহট্টের পুরনো নিকাশি ব্যবস্থাকে ভেঙে নতুন করে আবার তৈরি না করলে এর স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।’’ |