টুকরো খবর
স্মারকলিপি ডিওয়াইএফের
সাত দফা দাবিতে মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপারের উদ্দেশে স্মারকলিপি দিল ডিওয়াইএফ-এর ঝাড়গ্রাম শহর জোনাল কমিটি। ভারপ্রাপ্ত সুপার সুদীপ কাঁড়ার-এর অনুপস্থিতিতে সহকারি সুপার নুরুল ইসলাম স্মারকলিপিটি নেন। সংগঠনের ঝাড়গ্রাম শহর জোনাল কমিটির সভাপতি আশিস মাহাতো, সহ-সভাপতি সুভাষ ভুঁইয়া, সম্পাদক তাপস পরামানিক, সহ-সম্পাদক সৌরভ ঘোষ প্রমুখ যুবনেতারা অভিযোগ করেন, পরিকাঠামোর উন্নয়ন না করে ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালকে জেলা হাসপাতালে উন্নীত করা হয়েছে, অথচ উপযুক্ত পরিষেবা মিলছে না। চিকিৎসক-নার্সের শূন্য পদে নিয়োগ, জরুরি বিভাগে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসক, প্রসূতি ও শিশু বিভাগে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের অবসান প্রভৃতির দাবি জানান তাঁরা। নুরুলবাবু অবশ্য এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

১৭ দফা দাবিতে স্মারকলিপি
সতেরো দফা দাবিতে মঙ্গলবার ভগবানপুর ১-এর বিডিও-র কাছে স্মারকলিপি দিল বামপন্থী গণ সংগঠনগুলি। ছিলেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ প্রশান্ত প্রধান, সিপিএম নেতা সুব্রত মহাপাত্র, সত্যরঞ্জন দাস প্রমুখ। সংগঠনগুলির অভিযোগ, কেলেঘাই নদী সংস্কার প্রকল্পের কাজে নানা অজুহাতে বাধা দিচ্ছে শাসকদল তৃণমূল। ফলে দু’দিন কাজ বন্ধ ছিল। তাঁদের দাবি, ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি স্বচ্ছতার সঙ্গে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চালানো, যে সমস্ত জমি অধিগ্রহণ করা হবে সেই জমির মালিকদের বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা, গত সত্তরের দশকে অধিগৃহীত জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের বকেয়া টাকা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার দাবিও জানান তাঁরা। বিডিও হরিহর বালা দাবিগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

নিহত ছাত্রের স্মরণে সভা
নিহত কলেজ পড়ুয়া অভিজিৎ মাহাতোর স্মরণে সভা করল এসএফআই। মঙ্গলবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়ায় স্থানীয় প্রগতি সদনে আয়োজিত ওই স্মরণসভার মূল বক্তা ছিলেন এসএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডা, ঝাড়গ্রাম জোনাল-সম্পাদক তন্ময় ঘোষ প্রমুখ। ছিলেন অভিজিতের অভিভাবকেরাও। মানিকপাড়া কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অভিজিৎ এসএফআইয়ের সদস্য ছিলেন। অভিজিতের বাড়ি ঝাড়গ্রামের আগুইবনি অঞ্চলের বাঁকশোল গ্রামে। ২০০৯ সালের ১৭ জুন স্থানীয় দেবী-বাঁকশোল মোড়ে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে অভিজিৎ-সহ ৩ জনকে গুলি করে খুন করেছিল মাওবাদীরা। নিহত বাকি দু’জন ছিলেন স্থানীয় সিপিএমের নেতা-কর্মী। ওই দিন মানিকপাড়া কলেজে যাওয়ার জন্য দেবী-বাঁকশোল মোড়ে বাস ধরতে এসেছিলেন অভিজিৎ। এ দিন স্মরণসভায় কৌস্তভ বলেন, “জঙ্গলমহলের নৈরাজ্যের প্রতিবাদ করেই অভিজিতের মতো আমাদের অনেকেই শহিদ হয়েছেন। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সমাজের সর্বস্তরে ফের নৈরাজ্যের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। অভিজিতের আত্মত্যাগ এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে লড়তে আমাদের প্রেরণা জোগাবে।”

কিশোর উদ্ধার
মেচেদা থেকে পাঁশকুড়া যাওয়ার পথে নিখোঁজ কিশোর উদ্ধার হল দিঘায়। কার্তিক চক্রবর্তী নামে ওই কিশোরকে সোমবার রাতে দিঘা থানার পুলিশ উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কোলাঘাট থানার আন্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফণিভূষণ চক্রবর্তীর ছেলে কার্তিক। ফণিভূষণবাবু মেচেদা বাজারে ছাতা সারানোর কাজ করেন। গত শনিবার কার্তিক বাবার ছাতা সারানোর সরঞ্জাম কিনতে ট্রেনে চেপে পাঁশকুড়ায় গিয়েছিল। কিন্তু রাত পর্যন্ত কার্তিক বাড়ি না ফেরায় রবিবার কোলাঘাট থানায় অভিযোগ জানান তাঁর বাবা। অন্য দিকে, সোমবার রাতে এক কিশোরকে দিঘায় ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তার নাম কার্তিক, বাড়ি কোলাঘাটে। এরপরই দিঘা থানার পুলিশ কোলাঘাট থানায় যোগাযোগ করে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন কার্তিককে বাড়ি নিয়ে আসেন।

হার ছিনতাই
প্রকাশ্য রাস্তায় এক মহিলার গলা থেকে হার ছিনতাই করে পালাল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপনগরীতে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপনগরীর বাসিন্দা সমবায় সমিতির কর্মী চণ্ডী করণের স্ত্রী অর্চনাদেবী মঙ্গলবার সকালে আবাসনের বাড়ি থেকে সাইকেল চালিয়ে জাতীয় সড়কের দিকে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই রাস্তায় ট্যাক্সিতে থাকা কয়েকজন পিছন থেকে অর্চনাদেবীকে ডাকে। সেই সময় অর্চনাদেবী থামা মাত্র একজন হাত বাড়িয়ে তাঁর গলার থেকে সোনার হারটি ছিনিয়ে নেয়। এরপর ঘটনার কথা জানিয়ে কোলাঘাট থানায় অভিযোগ জানান অর্চনাদেবী। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় জড়িতদের ধরতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.