|
|
|
|
সকলকে নিয়েই এগোতে চান পুরপ্রধান তমালিকা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
নতুন পুরবোর্ড গঠিত হল হলদিয়ায়। বোর্ড গড়ল বামেরা। ভোটাভুটির মাধ্যমে চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন তমালিকা পণ্ডা শেঠ। এই নিয়ে টানা চার বার। এ দিন তমালিকাদেবী বলেন, “পুরসভা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সব আশঙ্কা ত্যাগ করে যাঁরা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেই জনগণকেই এই জয় নিবেদন করছি।”
সব মিলিয়ে এ দিনের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া ছিল সরগরম। সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে হলদিয়া পুরসভার ‘কনফারেন্স হলে’ ২৬ জন কাউন্সিলরকে শপথবাক্য পাঠ করান মহকুমাশাসক শিল্পা গৌরিসারিয়া। শপথ গ্রহণের পরে চেয়ারম্যান নির্বাচনের গোপন ভোটাভুটিতে হেরে গিয়ে ‘ওয়াক আউট’ করেন বিরোধী তৃণমূল কাউন্সিলরেরা। শপথ গ্রহণের পর বামেদের তরফে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিমল মাজিকে সভাপতি মনোনীত করা হয়। তৃণমূলের পক্ষে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শঙ্করপ্রসাদ নায়েককে সভাপতি বাছা হয়। তখন গোপন ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৫-১১ ব্যবধানে জয়ী হয় বামেরা। পুরপ্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ভোটাভুটি হয় ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজয়ী সিপিএম কাউন্সিলর তমালিকা পণ্ডাশেঠ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রেখারানি দেবের মধ্যে। একই ব্যবধানে জেতেন তমালিকাদেবী। |
|
শপথ গ্রহণের পরে কাউন্সিলরদের সঙ্গে তমালিকাদেবী। ছবি: আরিফ ইকবাল খান। |
তবে তাঁর চেয়ারপার্সন হিসেবে শপথ গ্রহণের আগেই তৃণমূলের ১১ জন কাউন্সিলর ‘ওয়াক আউট’ করেন। বাইরে বেরিয়ে তাঁরা ‘এই পুরপ্রধানকে মানছি না, মানব না’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এই প্রসঙ্গে তমালিকাদেবী বলেন, “বিরোধীরা থাকলেন না। থাকলে খুশি হতাম। আমি ২৬ জন কাউন্সিলর, রাজ্য সরকার, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ সহ সকলের সহযোগিতা নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই।” ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই কাউন্সিলর নারায়ণ প্রামানিক উপ-পুরপ্রধান হয়েছেন। পুর-পারিষদ হলেন বিমল মাজি, তাপসী মণ্ডল, বিকাশ জানা, আব্দুল কাদের। আগামী দিনে পানীয় জলের সমস্যার সমাধানে বাজেটের সিংহভাগ খরচ করা হবে বলে এ দিন তমালিকাদেবী জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|