|
|
|
|
বদলি জেল কন্ট্রোলারও |
হলদিয়া সাব-জেল থেকে আলিপুরে স্থানান্তরিত লক্ষ্মণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
হলদিয়া উপ-সংশোধনাগার থেকে কলকাতায় আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সরানো হল জেলবন্দি সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠকে। মঙ্গলবার হলদিয়ায় বামেদের পুর-বোর্ড গঠনের দিন সকালেই লক্ষ্মণবাবুকে স্থানান্তরিত করা হয়। হলদিয়া উপ-সংশোধনাগারের কন্ট্রোলার সন্তোষ সরকারকেও বদলি করা হয়েছে। উপ-সংশোধনাগারের সুপার তথা মহকুমাশাসক শিল্পা গৌরিসারিয়া বলেন, “উপরতলার নির্দেশেই লক্ষ্মণবাবুকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সন্তোষ সরকারের বদলির নির্দেশও কর্তৃপক্ষই দিয়েছেন। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।”
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ-কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ। এই মামলায় অভিযুক্ত বাকি ১১ জন অবশ্য হলদিয়া উপ-সংশোধনাগারেই রয়েছেন। হলদিয়ার জেলে লক্ষ্মণবাবুকে বাড়তি ‘সুবিধা’ দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগে গত ১২ জুন বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। কন্ট্রোলার সন্তোষ সরকারের জন্যই তা ‘সম্ভব’ হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। তার পরই লক্ষ্মণবাবুকে স্থানান্তর ও সন্তোষবাবুকে বদলি করা হল।
তৃণমূল এই সিদ্ধান্তে নিজেদের ‘জয়’ দেখছে। হলদিয়ার তৃণমূল নেতা তপন মাইতি বলেন, “লক্ষ্মণ শেঠ জেলে বসে মোবাইলে কথা বলতেন, ওঁর জন্য বাইরে থেকে খাবার আসত। সব অভিযোগ খতিয়ে দেখেই কারা দফতর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
পক্ষান্তরে সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক কানু সাহুর মতে, “এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছু নয়। পুরবোর্ড গঠনের দিন অশান্তি ছড়াতেই এই কাজ করা হয়েছে।” লক্ষ্মণ-জায়া তথা হলদিয়ার পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডাশেঠ বলেন, “ভোটের আগে ওঁর সঙ্গে সে ভাবে দেখা করতে পারিনি। ইচ্ছা ছিল, এ দিন শপথ গ্রহণের পরে দেখা করব। খারাপ লাগছে। কেন ওঁকে নিয়ে যাওয়া হল আইনজীবীর মাধ্যমে জানতে চেয়েছি।”
এ দিনই হলদিয়া পুরসভার কাউন্সিলরেরা শপথ গ্রহণ করেন। পুরপ্রধান হিসেবে শপথ নেন লক্ষ্মণ-জায়া। তবে তার আগেই সকাল ১০টা নাগাদ লক্ষ্মণ শেঠকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সন্তোষ সরকার বলেন, “লক্ষ্মণ শেঠকে নিরাপত্তার কারণেই স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এ দিনই আমারও বদলির নির্দেশ এসেছে।” সন্তোষবাবু যাচ্ছেন মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। তাঁর জায়গায় আসছেন মেদিনীপুর জেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট কন্ট্রোলার দেবাশিস প্রামাণিক। |
|
|
|
|
|