|
সি আর সেভেন বনাম তিকিতাকা ম্যাজিক |
চাপ নেই, দায়িত্ব আছে: রোনাল্ডো
নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
বড় ম্যাচ খেলার চাপ অনুভব করছেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের নাম স্পেন হওয়ায় কোনও ‘স্পেশ্যাল’ চাপে নেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। নিজের মনের ভেতর দায়িত্ববোধ আঁচ করছেন বিলক্ষণ পর্তুগাল অধিনায়ক। তবে সেটা ‘নতুন কিছু নয়’ তাঁর কাছে।
নতুন নয় তাঁর সেমিফাইনালের প্রতিদ্বন্দ্বীরাও। ক্লাব ফুটবলে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে যাঁদের সঙ্গে খেলেন, তাঁদের বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে বুধবার মাঠে নামতে হবে তাঁকে। “গত দশ বছর ধরে ক্লাব আর দেশের হয়ে এ ভাবেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলে চলেছি। হ্যাঁ, এই ম্যাচটা নিয়ে আমি নিজের ভেতর দায়িত্ববোধ অনুভব করছি। কিন্তু কোনও রকম চাপে নেই আমি। কোনও স্পেশ্যাল চাপ অনুভব করছি না। এ রকম ম্যাচ খেলতে আমি অভ্যস্ত হয়ে গেছি,” বলেছেন রোনাল্ডো।
স্পেন বনাম পর্তুগাল লড়াই। কিন্তু ফুটবলমহলের গরিষ্ঠ অংশ ম্যাচটাকে স্পেন বনাম রোনাল্ডো দেখছে। তাদের কিন্তু সতর্ক করে দিয়ে বিশ্বের এক নম্বর স্প্যানিশ মিডফিল্ডার জাভি বলেছেন, “রোনাল্ডোকে নিয়েই শুধু আমাদের সাবধান হলে চলবে না। পর্তুগাল টিমে রোনাল্ডো ছাড়াও অনেক ফুটবলার আছে যাদের নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। যদি আমরা টানা তিনটে বড় টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে চাই।” ২০০৮ ইউরো এবং ২০১০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন স্পেনের অন্যতম ফুটবলার জাভি আরও বলেছেন, “চলতি টুর্নামেন্টে পর্তুগালের সব ম্যাচ আমি দেখেছি। রোনাল্ডো দুর্ধর্ষ খেলছে। গোল পাচ্ছে। সব সত্যি। কিন্তু পর্তুগাল শুধু ওর ওপরই নির্ভরশীল নয়। দল হিসেবেও ওরা যথেষ্ট উঁচুদরের। এবং শেষ দু’টো ম্যাচে খুব ভাল জয় পাওয়ায় প্রচুর আত্মবিশ্বাসও অর্জন করেছে।” |
|
|
|
|
আলন্সো |
রামোস |
পিকে |
|
রোনাল্ডোকে থামানোর দায়িত্ব থাকবে যাঁদের উপর। |
|
|
জাভির আশঙ্কাকে আরও উস্কে দিতে স্বয়ং রোনাল্ডো বলছেন, “আমি আশা করি, দু’হাজার চারের ইউরো সেমিফাইনালের পুনরাবৃত্তি আমরা এ বার ঘটাতে পারব।” সে বার ফাইনালে উঠেছিল পর্তুগাল এবং এ দিন রোনাল্ডো বলেছেন, “আট বছর পরে আমাদের সামনে আবার ইউরো ফাইনাল খেলার সুযোগ এসেছে। লড়াইটা খুব কঠিন। তবে আমরা ফাইনালে ওঠার থেকে মাত্র এক পা দূরে সেটাও মাথায় রাখছি।” স্পেন টিমের নাড়িনক্ষত্র জানা রোনাল্ডো আরও বলেছেন, “স্পেন গ্রেট টিম। খুব আকর্ষণীয় লড়াই হবে এই ম্যাচে। তবে আমি আশা করি আমরাই জিতব। তার জন্য অবশ্য কঠিন লড়াই করতে হবে আমাদের।”
রোনাল্ডোকে আরও আশাবাদী করে তুলতে পারে জাভির মন্তব্য। “এই পর্তুগাল দলটা বিশ্বকাপের চেয়ে ভাল। অনেক বেশি পরিণত। দুর্দান্ত ডিফেন্স করছে। আর আক্রমণের সময় উইংয়ে ওদের ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে। যেখানটায় নানি আর রোনাল্ডো অপারেট করছে। মাঝমাঠেও রাউল মেরিলেস, জোয়াও মোতিনহো-র মতো প্রতিভাবান ফুটবলার আছে। শুধু রোনাল্ডোর ওপর নির্ভর করে নেই পর্তুগাল। আমাদের বিরুদ্ধেও থাকবে না।”
|
যাঁরা পাল্টাবেন ম্যাচের রং |
স্পেনের অন্তহীন পাসিংয়ের জাল ছেঁড়ার লক্ষ্যে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দৌড় এটাই আজকের প্রথম সেমিফাইনালের আসল টিআরপি হতে চলেছে। কারা হতে পারেন দু’দলের গেম চেঞ্জার? |
|
স্পেন
আন্দ্রে ইনিয়েস্তা- স্পেনের আক্রমণের ছক তৈরি শুরু হয় ইনিয়েস্তার পা থেকেই। সেই সঙ্গে রয়েছে ডিফেন্স চেরা থ্রু।
জাবি আলন্সো- মাঠের ডান দিক দিয়ে উঠে-নেমে অনেক দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারে। এই ইউরোয় পারফরম্যান্সের বিচারে আমি ওকে জাভি-র থেকেও আট-দশ শতাংশ নম্বর বেশিই দেব।
ইকের কাসিয়াস- ক্লাবের সতীর্থ রোনাল্ডোর আচমকা গোলার মতো শট আর ফ্রি কিকগুলো আটকানোর বড় বাজি। তবে ওকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।
|
|
পর্তুগাল
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো- সব সময় জায়গা বদল করে খেলতে অভ্যস্ত রোনাল্ডো এই মুহূর্তে অপ্রতিরোধ্য ফর্মে। খুব ভাল ড্রিবলার নয়, কিন্তু প্রচণ্ড গতিতে বল নিয়ে দৌড়তে পারে।
নানি- ডান দিক দিয়ে নানি-দৌড়ও চিন্তার কারণ হয়েছে ডাচ বা চেকদের। স্পেনকেও কড়া নজর রাখতে হবে ডান দিক থেকে আসা ক্রসগুলোর দিকে।
পেপে- পর্তুগিজ ডিফেন্সের নেতা। তোরেস বা ফাব্রেগাস— গোলের জন্য স্পেনীয়রা যার উপরই ভরসা রাখুক, তাকে কড়া ট্যাকলের সামনে পড়তে হবেই। |
|