|
|
|
|
ডেবরা ব্লকে তৃণমূলের দায়িত্বে রতন দে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ডেবরায় আপাতত তৃণমূলের ব্লক সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন রতন দে। তিনি পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন নিয়েই রতন দে’কে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব সামলানোর কথা বলা হয়েছে।” দলবিরোধী কাজের জন্য গত ১৯ জুন ডেবরা ব্লক সভাপতি অলোক আচার্যকে বহিষ্কার করে দল। প্রাথমিক ভাবে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁকে। ইতিমধ্যে তিনি নিজেকে সংশোধন করে নিলে পরবর্তীকালে ফের তাঁকে দল সসম্মানে ফিরিয়ে নেবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। গত এক বছরে ডেবরার বিভিন্ন এলাকায় বহু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটেছে। ডেবরার বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি ও অলোকবাবুর অনুগামী বলে পরিচিতরা নিজেদের মধ্য সংঘর্ষে জড়িয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল টোলপ্লাজায় কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করেও। কোন গোষ্ঠীর অনুগামীরা এখানে কাজের সূযোগ পাবেন, তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মিছিল, পাল্টা মিছিল এমনকী সংঘষের্র্ ঘটনাও ঘটে। ধীরে ধীরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে ডেবরার বিভিন্ন এলাকায়। পরে এক রক্তদান শিবিরকে কেন্দ্র করে খাজুরি গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ১২ জন তৃণমূল সমর্থক আহত হন। ঘটনায় দলের জেলা নেতৃত্বও বিড়ম্বনায় পড়েন। জানা গিয়েছে, দল এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ না- করলে তিনি দল ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন বলে রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন বিধায়ক। এরপরই রাজ্য নেতৃত্ব নড়েচড়ে বসেন। জেলা কমিটির কাছ থেকে ঘটনার কথা জানতে চান। অভিযোগ খতিয়ে দেখে রাজ্য কমিটি অলোক আচার্যকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। এ দিকে, আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে ব্লক সভাপতির পদ শূন্য থাকলে সমস্যা হতে পারে। তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর নির্দেশে সোমবার কলকাতায় যান জেলা সভাপতি দীনেন রায়। জেলার বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়। তখনই রাজ্য নেতৃত্ব জানান, পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতাই ব্লক সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন। সেই মতো মঙ্গলবার থেকে রতন দে’কে দায়িত্ব সামলাতে বলা হয়েছে। |
|
|
|
|
|