নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রশিক্ষিত বাহিনীকে ‘হারিয়ে’ দিয়েছিলেন তাঁরা। মাত্র আধ ঘণ্টায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৫০ ফুট গভীর ও আড়াই ফুট ব্যাসের পাতকুয়া থেকে তুলে এনেছিলেন কিশোর রোশন মণ্ডলের দেহ। ওই তিন কুয়োর মিস্ত্রিকে এ বার সরকারি চাকরি দিতে উদ্যোগী হলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আধুনিক সরঞ্জামের সাহায্য নিয়ে রবিবার রাতে রোশনের দেহ ১০ ঘণ্টায়ও তুলতে পারেনি দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে নারণা গ্রাম থেকে এসে গণেশ সর্দার, সুকুমার নাঙল ও গণেশ মাঝি নামে ওই ৩ মিস্ত্রি জলের ভিতরের ছবি ক্যামেরায় দেখে রাত ২টো নাগাদ তুলে আনেন রোশনের নিথর দেহ।
লিলুয়ার ঘটনা জানার পর থেকে মাঝরাত পর্যন্ত বিনিদ্র ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। তাঁরই নির্দেশে আধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে যান কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ১০ জন অফিসার, রাত ১১টার সময়ে যান হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তা-সহ দমকল মন্ত্রী জাভেদ খান। সে দিনই উদ্ধারকারী মিস্ত্রিদের পুরস্কৃত করার কথা ঘোষণা করেন দমকলমন্ত্রী। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নিজের দফতরে ওই ৩ জনকে চাকরি দিতে উদ্যোগী হন দমকলমন্ত্রী। রাজীববাবুর কাছে ওই ৩ জনের জরুরি কাগজ চেয়েছেন তিনি।
এ দিন রাজীববাবু জানান, জরুরি কাগজ তিনি বুধবার দমকলমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন। তিনি বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কুয়োয় পড়ে নানা বিপদ ঘটে। মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে এই ধরনের মিস্ত্রিদের নিলে সুবিধা হবে। তাই সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” ওই ৩ মিস্ত্রিকে চাকরি দেওয়ার উদ্যোগের সঙ্গে ডোমজুড়ের তেঁতুলতলিতে এ দিন নিজের অফিসে তাঁদের সংবর্ধনা ও পুরস্কারও দেন বিধায়ক।
ভ্রম সংশোধন। ২৬ জুন ‘কলকাতা’য় প্রকাশিত ‘প্রশিক্ষিত বাহিনীকে ‘হারিয়ে’ দিলেন তিন কুয়ো-মিস্ত্রি’ শীর্ষক খবরে দমকলের এক প্রাক্তন অধিকর্তার মন্তব্য বিভাস গুহর নাম দিয়ে ছাপা হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। |