আমাদের স্কুল
বাগুয়া হাইস্কুল

প্রতিষ্ঠা: ১৯৭০।
ছাত্রছাত্রী: ৪২০।
শিক্ষক-শিক্ষিকা: ১৩ জন।
করণিক: ৩ জন।
২০১১ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাসের হার: ৮৫ শতাংশ।

প্রবীরকুমার পাত্র
আজ থেকে প্রায় চার দশক আগে দামোদর নদের পশ্চিম তীরবর্তী হাওড়া জেলার বালিচক অঞ্চলে এক অনুন্নত গ্রামে এলাকার কয়েক জন শিক্ষাপ্রেমী ও হিতাকাঙ্ক্ষী মানুষের উদার ভাবনার পথ ধরে আমাদের বিদ্যালয়ের পত্তন হয়েছিল। সেটা ছিল ১৯৭০ সাল। বাগুয়া গ্রাম তখন অনেকটাই পিছনে। প্রথম অবস্থায় মাটির দেওয়াল, মাথায় টিনের ছাউনি। এক কথায় সর্বাঙ্গে অভাবের চিহ্ন নিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ের পথ চলা শুরু হয়েছিল। তারপর সময় যত এগিয়েছে অগ্রগতির পথে পা বাড়িয়েছে আমাদের বিদ্যালয়। বর্তমানে সর্বশিক্ষা মিশনের অর্থানুকূল্যে আমাদের বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের অভাব নেই বললেই চলে। এই মুহূর্তে আমরা গ্রন্থাগার, বীক্ষণাগার ও একটি সুসজ্জিত কম্পিউটার শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন খুব বেশি করে অনুভব করছি। বিদ্যালয়ের সুসজ্জিত জিমন্যাসিয়াম হল এই অঞ্চলের এক গর্বের বস্তু হয়ে উঠতে পেরেছে। বৃত্তিমূলক শাখায় তিনটি বিষয় যথাক্রমে টেলারিং, মোবাইল রিপেয়ারিং ও কাঠের কাজ চালু হওয়ার সুবাদে অনেকেই আত্মনির্ভরশীল হতে পেরেছে। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে উপযুক্ত পরিকাঠামো-সহ ওয়ার্কশপ শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন রয়েছে। বিদ্যালয়ে সম্প্রতি ইকো ক্লাবের সংযোজন হয়েছে যা ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞান-মনস্কতার বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। বিদ্যালয়ে প্রতি বছর বৃক্ষরোপণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পত্রিকা প্রকাশ ও বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া, নিয়মিত বার্ষিক শিক্ষামূলক ভ্রমণ তাদের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। সীমিত পরিসরে একটি ভেষজ উদ্যান তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আমাদের বিদ্যালয় একদিন এক ‘মডেল স্কুল’-এ পরিণত হবে এই আশা আমরা সকলেই রাখি।


আমার চোখে
অরিজিৎ রায়
আমি এই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি থেকে পড়ছি। তবে এই বিদ্যালয়ের সঙ্গেই প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকার কারণে এবং এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে আজ দশ বছর এই বিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রত্যেকেই খুব আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের পাঠদান করে চলেছেন। শিক্ষা-সংক্রান্ত যে কোনও রকম প্রয়োজনে তাঁদের কাছে আমরা নির্দ্বিধায় যেতে পারি। আমাদের প্রধানশিক্ষক মহাশয়ও বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতির বিষয়ে সদা সতর্ক আছেন। তবে আমাদের বিদ্যালয়ে লাইব্রেরি, মিড-ডে-মিল-এর ঘর ও বিস্তৃত খেলার মাঠের অভাব আছে। এ ছাড়া, আমাদের বিদ্যালয়টি দ্বাদশ শ্রেণিতে উন্নীত হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.