পরিষেবা করে ছাড় পেতে ফের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের দ্বারস্থ হল রেল। আজ প্রণব মুখোপাধ্যায় ইস্তফা দেওয়ায় অর্থ মন্ত্রকের সদ্য দায়িত্ব নেওয়া প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের উপরেই নির্ভর করছে রেলের ভাড়া-মাসুল বাড়ার বিষয়টি।
সমস্ত জোনকেও আজ চিঠি দিয়ে রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিষেবা করে ছাড় না পেলে ১ জুলাই থেকে যেন বর্ধিত হারে যাত্রীভাড়া ও পণ্য মাসুল নেওয়া শুরু হয়। মন্ত্রক জানিয়েছে, তখন বাতানুকূল সব শ্রেণিতে টিকিটের জন্য অতিরিক্ত প্রায় ৩.৬% অর্থ দিতে হতে পারে যাত্রীদের। পণ্য মাসুলের ক্ষেত্রেও সমহারে ভাড়া বাড়তে পারে। ইতিমধ্যেই যারা টিকিট কেটে ফেলেছেন, তাঁদেরও ১ জুলাই থেকে যাত্রার সময়ে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হতে পারে।
অর্থমন্ত্রী হিসাবে রেলকে পরিষেবা কর দেওয়ার প্রশ্নে এত দিন প্রতি তিন মাস অন্তর ছাড় দিতেন প্রণববাবু। ফলে বছরে রেলের পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হত। ৩০ জুন ওই ছাড়ের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। নিয়মমাফিক রেল মন্ত্রক ১ জুলাই থেকে ওই কর ছাড় চেয়ে অর্থ মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানালে তা খারিজ হয়ে যায়। মন্ত্রক সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রণববাবুকে সমর্থন না করাতেই অর্থ মন্ত্রক এই ছাড় তুলে নিচ্ছে। আজ ফের অর্থমন্ত্রকের কাছে চিঠি দেন রেলের ফিনান্সিয়াল কমিশনার বিজয়কান্ত। প্রধানমন্ত্রী কী সিদ্ধান্ত নেন, তার জন্য অপেক্ষা করছে রেল মন্ত্রক। রেলের বাতানুকূল (প্রথম শ্রেণি, টু ও থ্রি টিয়ার এবং চেয়ার কার) যাত্রীদের আগামী রবিবার থেকেই বাড়তি ভাড়া গোনার কথা। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস নীতিগত ভাবে যাত্রীভাড়া বাড়ানোর বিপক্ষে বলে আজ ফের এক বার ওই ছাড় চেয়ে রেল দ্বারস্থ হয় অর্থ মন্ত্রকের। রেল মনে করছে, আগামী চার দিনে সমাধান সূত্র বার হওয়া মুশকিল। মন্ত্রকের এক কর্তার ব্যাখ্যা, “তাই আগে থেকে সমস্ত জোনকে বাতানুকূল শ্রেণিতে বর্ধিত হারে ভাড়া ও পণ্য মাসুল নিতে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। যাতে তারা প্রস্তুত থাকে।” |