অর্থমন্ত্রীর পাশাপাশি আরও একটি পদ শূন্য হল মনমোহন মন্ত্রিসভায়। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আজ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন হিমাচলপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা, সারাহানের সাবেক রাজা বীরভদ্র সিংহ। ২৩ বছর আগে হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বীরভদ্র ও তাঁর স্ত্রী প্রতিভার বিরুদ্ধে দুর্নীতির একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় গত কাল তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের ২৪ ঘণ্টা পর আজ শেষ পর্যন্ত ইস্তফাই দিলেন বীরভদ্র।
কংগ্রেস সূত্রে বলা হয়, পদত্যাগের জন্য বীরভদ্রের কাছে বার্তা পাঠিয়েছিল দলীয় হাইকম্যান্ড। তার পর আজ সকালে প্রথমে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তার পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে পদত্যাগ পত্র দিয়ে আসেন বীরভদ্র। বিলাসরাও দেশমুখকে এই মন্ত্রকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বছরেরই শেষ দিকে হিমাচলে বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে এই ঘটনায় কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়ল। তবে পদত্যাগ করে বীরভদ্র বলেন, “আমার সততা ও নিষ্ঠা নিয়ে কেউ কখনও আঙুল তোলেনি। হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী পি কে ধুমল মিথ্যা মামলা সাজিয়েছিলেন। নিম্ন আদালতে লড়াই করে জিতেছি। কিন্তু ধুমল আবার সেই পুরনো চাল চেলেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পূর্ণ সময় দেওয়ার জন্যই ইস্তফা দিয়েছি।” অন্য দিকে কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, হিমাচলে বিজেপি সরকারের দুর্নীতিই আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রচারের অস্ত্র। তাই ইস্তফা দিয়ে বীরভদ্র নৈতিক ভাবে উচ্চস্থানে রইলেন। এর পর বিজেপিকে দুর্নীতির প্রশ্নে আক্রমণ কংগ্রেসের পক্ষে সহজ হবে। তা ছাড়া বীরভদ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ এত দিনের পুরনো যে, তা নিয়ে রাজনীতি করে বিজেপি বিশেষ সুবিধা করতে পারবে না। |