রাতের কলকাতায় ফের পথ-দুর্ঘটনা। যা আবারও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল রাতের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালের একটি যন্ত্র খারাপ হওয়ায় কর্তৃপক্ষ ডেকে পাঠিয়েছিলেন ওই যন্ত্র সরবরাহকারী সংস্থার কর্মীদের। যন্ত্রটি সারিয়ে ট্যাক্সি ভাড়া করে বাড়ি ফিরছিলেন ওই সংস্থার তিন যুবক। ট্যাক্সি কংগ্রেস এগজিবিশন রোড পেরিয়ে সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউয়ে উঠতেই একটি ট্রাক হুড়মুড়িয়ে উঠে পড়ে সেটির উপরে। মালবোঝাই ট্রাকের ভারে পিষে যায় ট্যাক্সিটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ট্যাক্সির দুই আরোহীর। ট্যাক্সিচালক এবং অন্য এক আরোহী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। |
পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আড়াইটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতদের নাম জয়ন্তকুমার দাস (৩৫) ও শারদ শ্রীবাতি (৪০)। জয়ন্তের বাড়ি ঠাকুরপুকুরের সরশুনা টাউনশিপে। শারদ মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। অন্য আরোহী বৃন্দাবন মল্লিক লেনের বাসিন্দা প্রশান্তকুমার বসু ও ট্যাক্সিচালক দেবেন্দ্রপ্রসাদ সাহুর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। স্থানীয়দের কাছে পুলিশ জেনেছে, দুর্ঘটনায় ডাল-বোঝাই ওই ট্রাকটির সামনের দু’টি চাকা খুলে রাস্তায় ছিটকে পড়ে। ট্রাকটি আড়াআড়ি ভাবে ট্যাক্সির উপরে উঠে যায়। পুলিশ জানায়, ট্রাকচালককে ধরা যায়নি। ট্যাক্সিচালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে জিজ্ঞাসা করে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হয়নি।
লালবাজারের ট্রাফিক-কর্তারা অবশ্য এ বারেও দাবি করেছেন, রাত ১১টা থেকে পরের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ থাকে না। তাই রাতের শহরে গাড়ি চালাতে হয় স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল মেনেই। তবে পুলিশের অনুমান, এ ক্ষেত্রে সিগন্যাল মানেননি দুই চালকই। |