ঢাকুরিয়ায় আমরি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা কম্পিউটারগুলি ফেরত দেওয়ার আর্জি খারিজ করে দিল আদালত। আমরি কর্তৃপক্ষের তরফে ৪টি কম্পিউটার এবং হার্ড ডিস্ক ফেরত দেওয়ার জন্য আলিপুরে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করা হয়। ওই আর্জির ভিত্তিতে কম্পিউটার ফেরত দেওয়া যাবে কি না তা খতিয়ে দেখে তদন্তকারী অফিসারকে রিপোর্ট দিতে বলে আদালত। তদন্তকারী অফিসার রিপোর্টে জানিয়ে দেন, এই মুহূর্তে ওই কম্পিউটারগুলি ফেরত দেওয়া যাবে না। কম্পিউটারগুলি সিল করা রয়েছে এবং সেগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এই রিপোর্ট জানার পরেই আদালত আমরির আবেদন খারিজ করে দেয়।
মঙ্গলবার বিচারক সুপর্ণা রায়ের এজলাসে বিষয়টি নিয়ে শুনানি হয়। আমরির তরফে আইনজীবী অশোক মুখোপাধ্যায়, সেলিম রহমানরা বলেন, কম্পিউটারগুলি যদি দেওয়া সম্ভব না-হয়, তবে অন্তত তথ্যগুলি কপি করে দেওয়া হোক। কারণ, এই সব কম্পিউটারে রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য-সহ কর্মীদের বিস্তৃত বিবরণও রয়েছে। আইনজীবীদের আরও বক্তব্য, ইতিমধ্যেই আদালত হাসপাতালে চিকিৎসার যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণের অনুমতি দিয়েছে। এ বার তাঁরা ওই সব যন্ত্রপাতি চিকিৎসার স্বার্থে ব্যবহার করতে চান। আদালত তাঁদের ওই আবেদনও খারিজ করে দেয়।
সরকারি আইনজীবী শক্তি ভট্টাচার্য আদালতকে জানান, কম্পিউটারগুলি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে সেগুলি সিল করে দিয়েছে। তাতে সাক্ষীর সইও রয়েছে। এই অবস্থায় সেগুলি ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। বিচারের সময় এগুলি ‘আলামত’ বা সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে প্রয়োজন পড়বে। এই মুহূর্তে ওই সবের সিল খোলা যাবে না। সরকারপক্ষের আইনজীবী বলেন, আদালত যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণের অনুমতি দিলেও রদবদলের অনুমতি দেয়নি। এখন মেশিনগুলি ব্যবহার করতে চাইলে স্বাস্থ্য দফতরের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তার পরে আদালতে আবেদন করতে হবে। আমরির তরফে এ দিন আদালতকে অভিযোগ করা হয়, অগ্নিদগ্ধ হাসপাতালের সামনে পুলিশ মোতায়েন থাকায় তাঁদের কর্মীরা ঢুকতে পারছে না। পুলিশ তাঁদের বাধা দিচ্ছে। সরকারপক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়, কর্মীদের ঢোকা-বেরনোয় কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। আদালত অবশ্য প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও লোকজনদের ঢোকার অনুমতি দেয়। এ ক্ষেত্রে অবশ্য সরকারপক্ষ কোনও আপত্তি করেনি। |