রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দাওয়াই স্বল্প মেয়াদি, মত স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তারও |
ডলারের জোগান বাড়িয়ে টাকার দামে রাশ টানতে সোমবার ঘোষিত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দাওয়াইয়ে মন ওঠেনি শিল্প ও শেয়ার বাজারের। হতাশার সেই একই রেশ টেনে মঙ্গলবার দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই)-ও জানিয়ে দিল, এই দাওয়াই স্বল্প মেয়াদি। দীর্ঘ মেয়াদে বাজারকে চাঙ্গা করতে চাই আরও বেশি পরিমাণ রফতানি ও বিদেশি লগ্নি নিশ্চিত করার পথ। মঙ্গলবার এসবিআইয়ের চেয়ারম্যান প্রতীপ চৌধুরী বলেন, “রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পদক্ষেপগুলি আসলে স্বল্প মেয়াদে উপযোগী। কিন্তু দেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে দীর্ঘ মেয়াদি উন্নয়নের কথা ভেবে এগোনোটা অত্যন্ত জরুরি। আর সে জন্যই দেশে আরও লগ্নি টানার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। বাড়াতে হবে রফতানি। কারণ এখন রফতানির থেকে আমদানি বেশি হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, সোমবার ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেশে ডলারের জোগান বাড়াতে যে পদক্ষেপগুলি করেছে, তার মধ্যে রয়েছে সরকারি ঋণপত্রে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থার বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা ১,৫০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ২,০০০ কোটি ডলার করা, সরকারি ঋণপত্রে ১,০০০ কোটি ডলার পর্যন্ত বিদেশি লগ্নি ফেরতের সময় কমিয়ে ৩ বছর করা, বিদেশের সরকারি তহবিল, পেনশন-বিমা সংস্থা ও শীর্ষ ব্যাঙ্ককে ভারতে সরকারি ঋণপত্র কেনার অনুমতি ইত্যাদি।
|
ভারতে আগামী তিন বছরে স্বাস্থ্যকর পানীয়ের বাজার ছোঁবে ৫৪ হাজার কোটি |
আগামী ২০১৫-এর মধ্যে দেশের ফলের রস জাতীয় স্বাস্থ্যকর পানীয়ের বাজার দাঁড়াতে পারে ৫৪,০০০ কোটি টাকার। সম্প্রতি বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের করা এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। মূলত ফলের রসের হাত ধরেই বাড়ছে এই বাজার। বর্তমানে যার পরিমাণ আনুমানিক ২২,০০০ কোটি টাকা। বদলে যাওয়া জীবনযাত্রা এবং চাহিদার হাত ধরেই এই পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছে বণিকসভাটি। দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা ও চেন্নাইয়ের প্রায় ২,৫০০ জনকে নিয়ে করা এই সমীক্ষা অনুসারে, শহরের তরুণ প্রজন্ম এখন অনেক বেশিমাত্রায় স্বাস্থ্য সচেতন। সেই কারণে কোলা জাতীয় কার্বন-ডাই অক্সাইড যুক্ত ছেড়ে এখনকার যুব সমাজ চাইছে স্বাস্থ্যকর পানীয়। ফলে তাঁরা ঝুঁকছে ফলের রস জাতীয় পানীয়ের দিকে। পাশাপাশি, বেশি ওজন, রাত জেগে কাজ করা, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি অর্থ হাতে এসে যাওয়াও এর অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছে বণিকসভাটি। অ্যাসোচ্যামের এই যুক্তিতে ইন্ধন জুগিয়েছে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানও। গত তিন বছরে দেশে ফলের রস জাতীয় পানীয়ের বাজার বেড়েছে অনেকটাই। যার মধ্যে শুধুমাত্র ফলের রসের বাজার বেড়েছে ১৫% এবং অন্যান্য রস জাতীয় স্বাস্থ্যকর পানীয়ের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা প্রায় ৩০%। কিন্তু সেই তুলনায় বরং ১৫-২০% কমেছে কোলা জাতীয় পানীয়ের বাজার।
|
দীপাবলিতেই মারুতির নতুন অল্টো বাজারে |
বছরের শেষেই ‘নতুন অল্টো’ বাজারে আনছে মারুতি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, পেট্রোল-চালিত ৮০০সিসি ইঞ্জিনের ওই গাড়িটি বর্তমানে চালু মারুতি-৮০০ ও অল্টো-র (৮০০সিসি) চেয়ে শক্তিশালী ও জ্বালানি সাশ্রয়কারী হবে। দামও হবে বেশি। জুলাই-অগস্টে গুড়গাঁওয়ের কারখানায় গাড়িটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হলেও তা বাজারে আসবে দীপাবলির সময়ে। ভারত এখনও মূলত ছোট গাড়িরই বাজার। নতুন ৮০০সিসি-র গাড়ি এনে সেখানে তাদের একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখতে চায় মারুতি-সুজুকি। এখন ৮০০ সিসি ও ১০০০ সিসি-র অল্টো আছে তাদের। ভারত স্টেজ-৪ পরিবেশ বিধি চালু হওয়ার পরে মেট্রো শহর-সহ কিছু প্রথম সারির শহরে বন্ধ হয়েছে মারুতি-৮০০ বিক্রি। তখন সংস্থা জানিয়েছিল, গাড়িটি ভারত স্টেজ-৪ উপযোগী করা হচ্ছে না। তবে নয়া অল্টো এলে বর্তমানে চালু অল্টো-র ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিশ্চিত নয়। নতুন গাড়ি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ সংস্থার কর্তারাও। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এখনকার অল্টো পুরোদস্তুর বদলাবে না। তবে গাড়ি তৈরির প্ল্যাটফর্ম ও ইঞ্জিনের ক্ষমতা বাড়ছে। পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে।
|
সঙ্কট থেকে বাঁচতে ত্রাণ চাইল সাইপ্রাস |
গ্রিস, আয়ার্ল্যান্ড, পর্তুগাল, স্পেনের পর এ বার সাইপ্রাস। আর্থিক সঙ্কটে নাভিশ্বাস ওঠা অর্থনীতিকে বাঁচাতে এ বার ত্রাণের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের দ্বারস্থ হল ইউরো অঞ্চলের এই সদস্য দেশও। আর্থিক সাহায্য চেয়ে ওই ভুমধ্যসাগরীয় দ্বীপ-রাষ্ট্রের আর্জি এসে পৌঁছেছে ইউরো গোষ্ঠীর প্রেসিডেন্ট জাঁ-ক্লদ জাঙ্কার-এর কাছে। জাঙ্কার জানান, তাঁরা দ্রুত খতিয়ে দেখছেন আবেদন। সাইপ্রাসের সরকারি সূত্রের খবর, দেশের ব্যাঙ্কগুলিকে বাঁচাতে ওই ত্রাণ জরুরি। গ্রিক সরকার, ব্যাঙ্ক ও সে দেশের বহু ব্যবসায় দেওয়া ঋণ ফেরত না পেয়ে ডুবতে বসেছে তারা। তাদের অনুরোধ, ইইউ-র ১৭টি দেশের ত্রাণ তহবিল থেকে সাহায্য মঞ্জুর করা হোক। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, যা হতে পারে ৫০ থেকে ১০০ কোটির ইউরোর মতো।
|
বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিল নোমুরা |
ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে মুখ খুলল আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিষেবা সংস্থা নোমুরা-ও। চলতি অর্থবর্ষে এ দেশের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৭% থেকে কমিয়ে ৫.৮% করেছে তারা। যা সরকারি পূর্বাভাস ৭.৬%-এর থেকেও বেশ কম। নোমুরা জানিয়েছে, ভারতের আর্থিক নীতিতে তারা হতাশ। |