কীটনাশক খেয়ে মৃত্যু হল পড়শি এক বধূকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সঞ্জয় মণ্ডল (৩৯)। ময়ূরেশ্বর থানা এলাকায় তাঁর বাড়ি। এ দিকে, রাজনৈতিক কারণে ফাঁসিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে থানায় পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছেন মৃতের স্ত্রী। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে যায়। আত্মঘাতী অভিযুক্তের পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ হলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ জুন সঞ্জয়বাবুর বিরুদ্ধে ময়ূরেশ্বর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন গ্রামেরই এক বধূ। তার পরে বার কয়েক পুলিশ অভিযুক্তকে ধরতে যায়। কিন্তু তাঁকে পায়নি। মৃতের দাদা নারায়ণ মণ্ডলের দাবি, “ভাই বিজেপি করত। সেই আক্রোশে সিপিএমের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী ধরম মণ্ডল, তাঁর খুড়তুতো ভাই মোহন মণ্ডলের মদতে ওই বধূ ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এমন কী মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়ার জন্য ভাইয়ের উপরে চাপ সৃষ্টি করে।” সঞ্জয়বাবুর স্ত্রী লালমুখীদেবীর অভিযোগ, “ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগে লোকলজ্জা এবং মোটা টাকার জরিমানার চাপ সহ্য করতে না পেরেই স্বামী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। মৃত্যুর আগে চিৎকার করে মোহন মণ্ডল, ধরম মণ্ডল এবং ওই বধূ তাঁকে বাঁচতে দিল না বলে জানিয়েছেন।”
অন্য দিকে, বিজেপির ময়ূরেশ্বর মণ্ডল কমিটির সভাপতি তামাল মণ্ডল বলেন, “রাজনৈতিক আক্রোশে মিথ্যা অভিযোগে আমাদের ওই কর্মীকে ফাঁসানো হয়েছে।” ধরমবাবুদের পাল্টা দাবি, “উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের জড়ানো হয়েছে।” যদিও ওই বধূ এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সিপিএমের ময়ূরেশ্বর লোকাল কমিটির সম্পাদক মহম্মদ মকরম আলিরও দাবি, “ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ওই বধূ পরিবারের লোকের সঙ্গে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছেন।” পুলিশ জানায়, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছে। |