তিনটি পরিবারে লুটপাট এবং এক জবওয়ার্কারকে মারধর করে একশো দিন কাজের মাস্টার রোলের খাতা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল দুবরাজপুরের পদুমা অঞ্চলে। সোমবার বিকেলে পদুমা অঞ্চলের বিদায়পুর গ্রামে ঘটে যাওয়া দু’টি পৃথক ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। ওই দিন রাতেই থানায় দু’টি ঘটনার লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিশের দাবি, একটি ঘটনার সঙ্গে আর একটি ঘটনার যোগ রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি খাস জমির দখলকে কেন্দ্র করেই ওই ঝামেলা বাধে। অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত সকলেই তৃণমূল করেন বলেও জানা গিয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “দু’তরফের অভিযোগ জমা পড়েছে। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
যে পরিবারগুলিতে লুটপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ, বিদায়পুর গ্রামের সেই পরিবারের রবিলাল কিস্কু, নন্দলাল হাঁসদা ও চরণ কিস্কুদের দাবি, “ওই দিন বিকেল ৪টে নাগাদ পাড়ারই হোপন কিস্কু নামে এক যুবকের খোঁজে অতর্কিতে আক্রমণ চালিয়েছিল কিছু সশস্ত্র লোকজন। তখনই বাড়ি থেকে সাইকেল, টিভি, মোবাইল-সহ জিনিসপত্র নিয়ে যায় তারা।” হামলাকারীদের মধ্যে তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন ছিল বলেও দাবি করেছেন রবিলালরা। অন্য দিকে জবওয়ার্কার রাধামাধব সাহা বলেন, “সোমবার শেষ দিন হওয়ায় এলাকার একটি একশো দিনের কাজের মাস্টার রোলের খাতা পদুমা পঞ্চায়েতে জমা দিতে যাচ্ছিলাম।” তাঁর অভিযোগ, “বিদায়পুরে হোপন কিস্কু হঠাৎ আমার উপর চড়াও হয়ে মারধর করে ওই খাতা ছিঁড়ে দেয়।”
যদিও তৃণমূল নেতা শৈলেন মাহাতার দাবি, “হোপন কিস্কু দীর্ঘদিন ধরেই একটি খাস জমি চাষ করে আসছে। রাধামাধব সাহা জমিটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য হোপনকে চাপ দিচ্ছিলেন। এই নিয়ে সোমবার বিকেলে দু’জনের হাতাহাতি হয়। তখন তিনি লোকজন ডেকে নিয়ে এসে হোপনের খোঁজে ওই পাড়ায় হামলা চালান, লুটপাট করেন।” হামলাকারীরা তৃণমূল করেন কি না সেটা প্রশাসন দেখবে বলে জানিয়েছেন শৈলেনবাবু। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় অবশ্য ঘটনার দায় সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের উপর চাপিয়েছেন। সিপিএম নেতৃত্ব এটাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে দাবি করেছেন। |