নিজস্ব সংবাদদাতা • বুদবুদ |
কারখানার ভিতরে বেশ কয়েকটি সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে জল তুলছেন কর্তৃপক্ষ। এই অভিযোগে নির্মীয়মাণ সার কারখানার আধিকারিকদের কার্যালয়ে ঢুকতে বাধা দিয়ে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখালেন বুদবুদ থানার পণ্ডালি মৌজার বাসিন্দারা।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাম্প বসিয়ে জল তোলায় সংলগ্ন এলাকায় মাটির নীচে জলতল নেমে গিয়েছে। নলকূপ বা কুয়োয় পর্যাপ্ত জল মিলছে না। অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ফের বিক্ষোভ দেখানো হবে বলে জানান তাঁরা। কারখানার এক আধিকারিক আশ্বাস দিয়েছেন, বাসিন্দাদের দাবি মেনে বিকল্প পন্থা খোঁজার চেষ্টা হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পণ্ডালি মৌজায় ৪১৯ একর জমিতে এই সার কারখানা গড়া হচ্ছে। প্রায় ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে এই কারখানায়। |
২০১০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।বাসিন্দাদের অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানা চত্বরের ভিতর অন্তত ৮টি সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়েছেন। এর ফলে পণ্ডালি, কোটা, চন্ডীপুর, সোঁয়াই এলাকায় ভূগর্ভের জলতল অনেক নেমে গিয়েছে। নলকূপ বা কুয়ো থেকে জল পেতে সমস্যায়পড়ছেন তাঁরা।
পণ্ডালি গ্রামের বাসিন্দা নারায়ণচন্দ্র গোস্বামীর দাবি, “অগভীর নলকূপগুলি থেকে জল আসা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গভীর নলকূপ থেকেও জল পেতে সমস্যা হচ্ছে।” এর প্রতিবাদেই মঙ্গলবার এলাকার কয়োকশো বাসিন্দা কারখানায় ঢুকে বিক্ষোভ দেখান। যদিও তাতে নির্মাণকাজ ব্যাহত হয়নি। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলে। পুলিশ গিয়ে তা থামায়। কারখানা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে ওই আধিকারিক জানান, ডিভিসি ব্যারাজ থেকে একটি জলের পাইপ-লাইন বসানোর কাজ চলছে। কারখানা চালু হওয়ার আগেই সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। তখন দামোদর থেকে সরাসরি কারখানায় জল আনা হবে। আর সাবমার্সিবল পাম্প চালানোর প্রয়োজন হবে না। তবে তাঁর দাবি, তাঁরা একা নন, এলাকার অনেক কারখানাই পাম্পের সাহায্যে মাটির নীচ থেকে জল তুলে ব্যবহার করে। |