|
|
|
|
|
|
|
ইসকুলে মুশকিল |
উত্তর দিচ্ছেন পুষ্পা মিশ্র |
|
আমি স্কুলে যেতে চাই না। কারণ, আমার এক শিক্ষকমহাশয় আমাকে এক বিকৃত নামে ডেকেছিলেন। তার পর থেকে সবাই আমাকে ওই নামে খ্যাপায়।
শ্রেয়ন সাহা। নবম শ্রেণি, বসিরহাট হাইস্কুল
শ্রেয়ন, স্কুলে না গিয়ে তুমি তো তোমার নিজের প্রচণ্ড ক্ষতি করছ। তুমি খেপে যাও বলে তোমার বন্ধুরা আরও মজা পায় এবং বেশি করে খ্যাপায়। তুমি তোমার বাবা-মাকে জানাও পুরো ব্যাপারটা কী। তাঁরা নিশ্চয় তোমার শ্রেণি শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে এর ব্যবস্থা করবেন। তবে শেষ ব্যবস্থা তোমার হাতে। তুমি যদি তাদের কথায় কান না দাও, রাগ না করো, তা হলে দু’দিন পরে ওরা আপনিই শান্ত হয়ে যাবে। চেষ্টা করে দেখো।
|
|
আমার প্রথম প্রশ্ন, সকাল ৬টায় ঘুম থেকে ব্যায়াম করে আমি ৭টায় পড়তে বসি। তার পর স্কুলে যাই। আবার স্কুল থেকে ফিরে ফুটবল খেলে সন্ধেবেলা যখন পড়তে বসি, তখন আমার ঘুম পেয়ে যায়। কী করব? দ্বিতীয় প্রশ্ন হল, পড়ার পিছনে অনেকক্ষণ সময় দিই, কিন্তু কিছুতেই মুখস্থ হয় না, কেন?
ইন্দ্রাশীষ গরাই। অষ্টম শ্রেণি, শ্রীরামকৃষ্ণ শিক্ষালয়, হাওড়া
|
|
ইন্দ্রাশীষ, প্রথমত তুমি ব্যায়াম করো এবং ফুটবল খেলো শুনে আমার খুব ভাল লাগল। কিন্তু মনে হচ্ছে, তুমি ক্লান্ত হয়ে পড়ো এবং যতটা ঘুম তোমার শরীরের প্রয়োজন, ততটা তুমি পাও না। তাই ফুটবল খেলে এসে যদি আধ ঘণ্টাও ঘুমিয়ে নাও, আমার মনে হয়, তোমার সমস্যা হবে না।
পড়া মুখস্থ না হওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, তুমি যদি সন্ধেবেলা ক্লান্ত শরীর-মন নিয়ে পড়ো, তা হলে পড়া তাড়াতাড়ি মুখস্থ হবে না। তা ছাড়া, পড়া বুঝে পড়বে, কয়েক বার পড়ার পরে রাফ খাতায় লিখবে (অন্তত পয়েন্টগুলো লিখে ফেলো), রাতে যে পড়া মুখস্থ করেছ, তা পর দিন সকালে আর এক বার পড়ে নিয়ো। দেখবে, পড়া অনেক তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে যাবে।
|
আমার পড়তে ভাল লাগে না। মুখস্থ করে না দেখে লিখতে ভাল লাগে না। বই দেখে প্রশ্নের উত্তর লিখতেও ভাল লাগে না। খাতা-পেন্সিল ছুড়ে ফেলি। অঙ্কে খুব কাঁচা, অথচ দাদুর মতো ডাক্তার হতে চাই।
ইন্দ্রনীল নস্কর। তৃতীয় শ্রেণি, স্টেলা মরিস প্রাইমারি স্কুল
|
|
|
ইন্দ্রনীল, তুমি তো সবে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ো। এখন তোমার বয়স খুবই কম। তোমার পড়াশোনার ব্যাপারে নিশ্চয় কোনও অসুবিধে আছে। হয়তো তুমি যে রকম ভাবে পড়তে চাও, সে রকম ভাবে কেউ তোমায় পড়াতে বা শেখাতে পারছে না অথবা তোমার অন্য কোনও অসুবিধে আছে। আমার মনে হয় তোমার কোনও কাউন্সেলারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
|
খামে ভরো মুশকিল
পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের।
চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো:
ইসকুলে মুশকিল, রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|