জঙ্গলের কাঠ চুরিতে জড়িত সন্দেহে এক সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বন দফতর। লক্ষাধিক টাকার চোরাই কাঠ বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান আটক করে চালককে জেরার পর বন দফতরের অফিসারেরা ওই অভিযোগ জানান। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার গোফানগর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত চালকের নাম সুজিত দাস। তার বাড়ি গঙ্গারামপুরের ফুলবাড়ি এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার রাতে চালককে বন দফতরের কর্মীরা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত সিপিএম নেতার নাম পূর্ণচন্দ্র দাস। তার বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার ফুলবাড়ি। তিনি স্থানীয় উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য এবং পেশায় রেশন ডিলার। পুলিশের কাছে গাড়ির মালিক পূর্ণচন্দ্র দাস, চালক সুজিত দাস-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “বনদফতর থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এক জনকে ধরা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছি।” সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএম নেতা পূর্ণচন্দ্রবাবু বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়ি ছিলাম না। ধান আনার ভাড়ার কথা বলে চালক গাড়িটি বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। গাড়িতে কাঠ পাচারের বিষয়টি জানতাম না। আমাকে ফাঁসাতে চক্রান্ত করেছে বলে মনে হচ্ছে।”
|
ডাইনি অপবাদ দিয়ে আদিবাসী এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুনের অপরাধে ৬ যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের সাজা দিল রায়গঞ্জের অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের নাম মাশান চোরে, বিহোবল চোরে, সোম চোরে, বিজয় কিস্কু, মোটরা কিস্কু এবং লক্ষ্মণ চোরে। প্রত্যেকে রায়গঞ্জ থানার বাজিতপুর এলাকার বাসিন্দা। সওই ছয় যুবক ১৬ বছর আগে ডাইনি অপবাদ দিয়ে প্রতিবেশী এক গৃহবধূকে খুন করে বলে আদালতে প্রমান হয়েছে। এ দিন বিচারক সান্তনু রায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। |