এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনার জেরে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার তিওড় কৃষ্ণাষ্টমী হাইস্কুলে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার পড়ুয়ারা স্কুলে হাজির হলেও উপস্থিত হননি কোনও শিক্ষক। ফলে স্কুলের দরজা না খোলায় পঠনপাঠন লাটে ওঠে। বৃহস্পতিবার স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগে এক পার্শ্ব শিক্ষকের পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রহৃত ছাত্রের বাবা জয়ন্ত দাস। শুক্রবার প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে অধিকাংশ শিক্ষক স্কুলে না গিয়ে বালুরঘাটে গিয়ে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়ে নিরাপত্তার দাবি জানান। পাশাপাশি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে ওই স্কুলের প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়ে দ্রুত পঠনপাঠন স্বাভাবিক করে তোলার আবেদন জানানো হয়। পড়ুয়াদের অভিযোগ, কারণ ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়েছেন। আগামী ২৫ জুন থেকে দ্বিতীয় পর্বের ইউনিট টেস্ট পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “ওই স্কুলে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে একটি সমস্যা তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষকদের নানা বিষয় নিয়ে মতবিরোধে জটিলতা দেখা দিয়েছে। স্কুলে স্বাভাবিক পঠন শুরু করতে স্কুল পরিদর্শককে বলা হয়েছে।” বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার তিওড় কৃষ্ণাষ্টমী হাইস্কুলে ওই পার্শ্ব শিক্ষকের ধূমপানের ছবি মোবাইলে তোলার সন্দেহে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সুব্রত দাসকে তিনি মারধর করেন বলে অভিযোগ। অসুস্থ ওই ছাত্রকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জয়ন্তবাবু রাতে তিনি হিলি থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানান, প্রধান শিক্ষক উৎপল লাহার নির্দেশে ওই পার্শ্ব শিক্ষক অশোক চক্রবর্তী ছেলেকে ধূমপানের ছবি তোলার মিথ্যে অভিযোগ তুলে মারধর করেন। এদিন সকালে তাঁকে হুমকি ও হামলার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন ওই পার্শ্ব শিক্ষক অশোক চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “ওই ছাত্রকে মারধরের মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। রাতে কিছু যুবক আমার উপর হামলার চেষ্টা করে। পুলিশকে জানানো হয়েছে।” প্রধান শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা থাকায় নিরাপত্তার কারণে স্কুল বন্ধ রেখে প্রশাসন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে।” তদন্ত করছে পুলিশ। |