নাকাল যাত্রীরা
সিপিএমের ডাকা যাত্রী পরিবহণ ধর্মঘটের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল শিলিগুড়ি নকশালবাড়ি যান চলাচল। বেহাল ৩১ (সি) জাতীয় সড়ক মেরামতির দাবিতে শুক্রবার থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে দলের নকশালবাড়ি জোনাল কমিটি। ধর্মঘটের জেরে এদিন সকাল থেকে ওই সড়কে অধিকাংশ বেসরকারি বাস ও অটো চলাচল করেনি। তার জেরে বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। সকাল থেকে বাগডোগরা, নকশালবাড়ি, হাতিঘিষা এলাকায় বহু লোককে যানবাহনের অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। কিছু সরকারি বাস চলাচল করলেও ভিড়ের চাপে তাতে চড়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। তবে ধর্মঘটের সমর্থনেও বহু সাধারণ মানুষ এদিন সওয়াল করেন। নকশালবাড়ি জোনাল কমিটির সম্পাদক শীতল দত্ত বলেন, “এলাকার বাসিন্দাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বাস মালিকেরাও সমস্যায় পড়েছেন। কেবল পূর্ত দফতরের কোনও হুঁশ নেই। বাধ্য হয়েই ধর্মঘটের ডাক দিতে হয়। এতেও রাজ্য সরকারের টনক না-নড়লে নতুন করে আন্দোলনের সূচি তৈরি করা হবে।” তৃণমূল অবশ্য মনে করে, রাজনীতি করতে সিপিএম পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। দলের নকশালবাড়ি ব্লক সভাপতি গৌতম কীর্তনিয়া বলেন, “জাতীয় সড়ক মেরামতির দায়িত্ব তো কেন্দ্রীয় সরকারের। রাজ্য সরকারকে দায়ী করা হচ্ছে কেন? সিপিএমের আমলেই তো ওই রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে। পঞ্চায়েত সমিতি থেকে মেরামতির জন্য ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।” গত এক বছর ধরে রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। নেপাল-বাংলাদেশ সড়ক বাণিজ্য হয় ৩১ (সি) জাতীয় সড়কের উপরে নির্ভর করে। ওই জাতীয় সড়ক মেরামতির জন্য পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক-৯ বিভাগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০ কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেই টাকা হাতে আসতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে অনুমান করে পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতির জন্য ২ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ওই সড়কে গর্ত বোজানোর কাজ চলছে বলে পূর্ত দফতরের দাবি। যদিও পূর্ত দফতরের গর্ত বোজানোর কাজে সন্তুষ্ট নন এলাকার বাসিন্দারাও। তাঁদেরও অভিযোগ, আশপাশের এলাকার মাটিই গর্তে ফেলা হচ্ছে। তাতে লাভ কী! বরং পিচ ঢালা না-হলে বর্ষায় রাস্তা আরও বেহাল হবে। হাতিঘিষা বাজারের চায়ের দোকানের মালিক গোপাল দাস বলেন, “বৃষ্টিতে সমস্ত গর্ত জলে ভর্তি হয়ে থাকছে। রোজ গাড়ি কিংবা মোটর সাইকেল উল্টে যাচ্ছে। জাতীয় সড়ক এতটা খারাপ আগে কখনও ছিল না। ধর্মঘটে যদি এ বার টনক নড়ে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.