|
|
|
|
টানা বৃষ্টিতে জাতীয় সড়ক যেন নদী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়নাগুড়ি |
টানা বৃষ্টিতে নদীর চেহারা নিয়েছে খানাখন্দে ভরা শিলিগুড়ি-ময়নাগুড়ি ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক। তিস্তা সেতুর মুখে পিচ-পাথর উড়ে গিয়ে রাস্তা জলার আকার নিয়েছে। রাধাবাড়ির কাছে একই ছবি। ভাঙাচোরা রাস্তায় যানজটে জেরবার দশা হয়েছে যাত্রীদের। বেড়েছে দুর্ঘটনা। জাতীয় সড়কের বেহাল দশায় বাস মালিক সহ বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের টেকনিক্যাল ম্যানেজার পঙ্কজ মিশ্র বলেন, “রাস্তার কয়েকটি জায়গায় খারাপ পরিস্থিতির কথা জানি। দ্রুত মেরামতের চেষ্টা চলছে। কিন্তু বৃষ্টির জন্য সমস্যা হচ্ছে।” জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ওই বক্তব্যে নিত্য যাত্রীরা আশ্বস্ত হতে পারছেন না। অভিযোগ উঠেছে, প্রায় দেড় বছর থেকে জাতীয় সড়কের বিরাট অংশ বেহাল। অনেক আন্দোলনের পরে ফাটাপুকুর থেকে রাধাবাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার করা। কিন্তু এর পরে তিন কিমি বেহাল রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ হয়নি। ফাটাপুকুর থেকে কাজ শুরুর পরে রোদ ঝলমলে কয়েক সপ্তাহ পেয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। ফলে বৃষ্টিপাত শুরু হতে ওই রাস্তা জলাশয়ের আকার নিয়েছে। জলকাদা জমে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে রাস্তার কোথায় গভীর গর্ত আছে তা চালকরা বুঝতে পারছেন না। অনুমানের ভরসায় চলতে গিয়ে উল্টে যাচ্ছে ভিন রাজ্যের পণ্য বোঝাই ট্রাক। উইন্ড স্ক্রিন ভেঙে পড়ছে। বেসরকারি বাস কর্মী বাপ্পা গুহ বলেন, “জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ অনেক সময় পেয়েছেন। কিন্তু ব্যবস্থা নেননি। শুক্রবার থেকে পাথর ফেলার কাজ শুরু করেছে। এখন দেখার কবে নাগাদ ওই কাজ শেষ হয়।” বাসকর্মীরা জানান, ময়নাগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি ৬২ কিলোমিটার। দেড় ঘণ্টায় গন্তব্যে পৌছনোর কথা। কিন্তু তিন ঘণ্টাতেও এখন সম্ভব হচ্ছে না। তিস্তা সেতু ও রাধাবাড়িতে যানজটে বিকেলের পরে ময়নাগুড়ির বহু বাস শিলিগুড়ি যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে ফেরার বাস না পেয়ে অফিস যাত্রীরা বিপাকে। পরিবহণ কর্মীদের অভিযোগ, তিস্তা সেতু পার হয়ে রাধানগরের কাছে বিপজ্জনক রাস্তা এড়াতে এত দিন বাসগুলি বাধ্য হয়ে তিস্তা-মহানন্দা ক্যানেলের পাশ দিয়ে গণ্ডার মোড় হয়ে চলাচল করেছে। ওই রাস্তাও ভেঙে চুরমার হয়েছে। বিকল্প কোনও রাস্তা না থাকায় এখন তাই রাতে কেউ ঝুঁকি নিচ্ছে না। |
|
|
|
|
|