|
|
|
|
বিধানসভায় জিটিএ নিয়ে বিবৃতি মুখ্যমন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিরোধী বামফ্রন্টের দাবি মেনে গোর্খা আঞ্চলিক প্রশাসন (জিটিএ) নিয়ে শুক্রবার বিধানসভায় বিবৃতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, জিটিএ নির্বাচন যে এলাকায় হবে, তার পুনর্বিন্যাসের বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে। জিটিএ নিয়ে শ্যামল সেন কমিটির রিপোর্ট, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের বৈঠক এবং নতুন তথ্য যাচাই কমিটি গড়ার সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গও মুখ্যমন্ত্রী ওই বিবৃতিতে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, জিটিএ নিয়ে আলোচনা এবং পাহাড় সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির আশ্বাস না-পাওয়ার প্রতিবাদে বামফ্রন্ট বিধায়করা বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ওয়াকআউট করেছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বিধানসভায় বিবৃতিতে জানান, এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শ্যামল সেনের নেতৃত্বে একটি ১০ সদস্যের উচ্চশক্তিসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছিল গত বছর ২৯ জুলাই। গত ৮ জুন ওই কমিটি তার রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ওই রিপোর্ট রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। গত ১৯ জুন তা বিধানসভাতেও পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা কয়েকটি বিষয়ে আলোচনার জন্য সরকারের কাছে সময় চায়। মহাকরণে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয়। তাঁরা ওই রিপোর্টের কয়েকটি তথ্য সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন। তখন একটি তথ্য যাচাই কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত হয়। যা সরকারের কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দেবে। তিন জন আইএএস অফিসারমনোজ অগ্রবাল, আরিজ আফতাব এবং এস সুব্বেকে নিয়ে ওই কমিটি গড়া হবে। সে ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে বৃহস্পতিবার। যদিও এক জন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির রিপোর্ট সম্পর্কে আইএএস অফিসারেরা মতামত দিতে পারেন কিনা, তা নিয়ে বামেদের প্রশ্ন রয়েছে। এ দিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির সময়ে মোর্চা বিধায়করা ছিলেন না।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ভোট করে জিটিএ চুক্তি অনুযায়ী সেখানে কাজ করা হবে। তবে এ ব্যাপারে কারও কোনও ‘ক্ষোভ’ থাকলে তাঁরা তা বলতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বিধানসভাতেও স্বীকৃত রাজনৈতিক দল। তাদের চার জন বিধায়ক আছেন। তাঁদের কথা অনুযায়ীই আমরা যাচাই কমিটি করেছি। তারা তাঁদের রিপ্রেজেন্টেশান নেবে, কথা বলবে।”
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী শ্যামল সেন-সহ তাঁর নেতৃত্বাধীন কমিটির সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “তিনি এবং তাঁর টিম খুব ভাল কাজ করেছেন। রিপোর্ট কারও পছন্দ হতে পারে, না-ও পারে। কারও পছন্দ হলে সেটাকে সমর্থন করে। কারও পছন্দ না হলে সে তার বিরোধিতা করে। কিন্তু আমরা মনে করি, গণতন্ত্রে এর একটা সুযোগ থাকা উচিত। এটাকে শিষ্টাচার বলা হয়।” |
|
|
|
|
|