|
|
|
|
হলদিয়ায় বস্তি উচ্ছেদে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া ও কলকাতা |
শিল্পশহর হলদিয়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষের জমি এবং সরকারি খাসজমি দখল করে তৈরি হওয়া বস্তি-ঝুপড়ি উচ্ছেদের যে সিদ্ধান্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন নিয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্ট আপাতত তা স্থগিত করে দিল।
সিপিএম নিয়ন্ত্রিত ‘বস্তি সংগ্রাম কমিটি’-র তরফে ৪৮ জন বস্তিবাসী উচ্ছেদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে মামলা করেন। শুক্রবার তা গ্রহণ করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ স্থগিত রাখতে বলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি বলেন, “সরকারি জায়গায় বেআইনি নির্মাণ থাকতে পারে না। হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের (এইচডিএ) আবেদনেই উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিলে, তা মানা হবে।” ‘বস্তি সংগ্রাম কমিটি’-র সভাপতি তথা সিপিএমের হলদিয়া জোনাল সম্পাদক সুদর্শন মান্না বলেন, “হাইকোর্টের এই অন্তর্বর্তী নির্দেশে বস্তিবাসীদের প্রাথমিক জয় হল। আশা করি, চূড়ান্ত জয়ও হবে।” হলদিয়ার সিপিএম পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডাশেঠের মন্তব্য, “পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ হবে না বলে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তাদের আসল রূপ মানুষ চিনে ফেলেছেন।” বহু চেষ্টা করেও ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি এইচডিএ-র চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে।
আগামী সোমবার থেকেই হলদিয়ার সিটি সেন্টার এবং চিরঞ্জীবপুর এলাকায় ‘অবৈধ’ নির্মাণ-উচ্ছেদের পরিকল্পনা করেছিল প্রশাসন। এ নিয়ে গত ১৫ জুন সর্বদল বৈঠক করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমন হাওলাদার। ওই বৈঠকে তমালিকাদেবী বা তাঁর দলের কাউকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ।
উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত জানার পর থেকেই পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে সিপিএম। উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়েরকারী বস্তিবাসী অনিমেশ মাইতি, বুদ্ধদেব করের বক্তব্য, “আমরা অনেকে বহু বছর ধরে এখানে আছি। অনেকে হোল্ডিং-ট্যাক্সও দেয়। শিল্প-কারখানার জন্যে আমাদের পূর্বসূরিদের অনেককে উচ্ছেদ হতে হয়েছিল। কিন্তু উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন মেলেনি। ফের উচ্ছেদ হলে যাব কোথায়? পুনর্বাসন না পেলে জায়গা ছাড়ব না।” |
|
|
|
|
|