|
|
|
|
মোহনপুরে সিপিআই প্রতিনিধিদল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দলীয় কর্মী-সমর্থকদের পাশে দাঁড়াতে মোহনপুরের নীলদা গ্রামে ঘুরল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিআইয়ের এক প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে ছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ প্রবোধ পণ্ডা, দাঁতনের বিধায়ক অরুণ মহাপাত্র, দলের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রানা প্রমুখ। এ দিন গ্রামে যাওয়ার পথেও তৃণমূলের লোকজন তাঁদের হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ সন্তোষবাবুর। তিনি বলেন, “তৃণমূলের মোটরবাইক বাহিনী এখন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। এ দিন আমাদেরও দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি যেতে দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতি চলতে পারে না।” তৃণমূল অবশ্য জেলা সিপিআই নেতৃত্বকে হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য, স্থানীয় কয়েক জন ক্ষুব্ধ হয়ে স্লোগান দিয়ে
থাকতে পারেন। তৃণমূল-সিপিআই সংঘর্ষে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তেজনা ছড়ায় মোহনপুর থানা এলাকার নীলদা গ্রামে। বুধবার সকালে সিপিএম-সিপিআইয়ের মোহনপুর জোনাল কার্যালয়ে তালাও ঝুলিয়ে দেয় তৃণমূল। |
|
সিপিআই নেতাদের ঘিরে বিক্ষোভ। |
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নীলদা বাজারে পথসভা করছিলেন সিপিআই নেতা তথা দাঁতনের বিধায়ক অরুণ মহাপাত্র। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সিপিআইয়ের অভিযোগ, বাইরে থেকে লোকজন এনে তৃণমূল বেছে বেছে বামপন্থী কর্মী-সমর্থকেরা বাড়ি, দোকানঘরে ভাঙচুর, লুঠপাট চালায়। তৃণমূলের পাল্টা বক্তব্য, নীলদার সভা-শেষে মুখ্যমন্ত্রীর নামে কুরুচিকর স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল। তাতে আপত্তি জানানোয় দলীয় এক নেতাকে বেশ কয়েকজন লাঠি-রড দিয়ে মারধর করে। তার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। শুক্রবার সকালে এলাকায় পৌঁছয় সিপিআইয়ের প্রতিনিধি দল। সাংসদ, বিধায়ক-সহ দলীয় নেতৃত্ব শুরুতে মোহনপুর থানায় আসেন। পুলিশের কাছে নিজেদের বক্তব্য জানান। তাঁদের অভিযোগ, সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে বেছে-বেছে বামপন্থী কর্মী-সমর্থকদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। অথচ, অভিযুক্ত তৃণমূলের লোকজন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। সিপিএমের জোনাল সম্পাদক রমণীমোহন জানার নেতৃত্বেও এক প্রতিনিধিদল এ দিন থানায় একই অভিযোগ জানায়। থানা থেকে মোহনপুরে দলীয় কার্যালয়ে আসেন সিপিআই নেতৃত্ব। পরে এখান থেকে নীলদা গ্রামে যান। গ্রামে ঢোকার সময় তাঁদের হেনস্থা করার পাশাপাশি নানা ভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ সিপিআই নেতৃত্বের। |
|
|
|
|
|