বুনো হাতির অত্যাচারে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা পঞ্চায়েত সমিতির বন কর্মাধ্যক্ষ সুনীল ঘোষের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে নকশালাবড়িতে। গত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকার মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের কিলারাম, কেতুগাবুর এবং বড় মণিরাম গ্রামে বুনো হাতির পাল হামলা চালাচ্ছে। এলাকার প্রায় দুশো বিঘা জমির ধান বুনো হাতির পাল নষ্ট করেছে। বৃহস্পতিবার রাতেও প্রায় ১০-১৫টি হাতির পাল ওই এলাকা ঢোকে। খবর পেয়ে বন দফতরের পানিঘাটার রেঞ্জ অফিসার ভূপেন বিশ্বকর্মার নেতৃত্বে বনকর্মীরা ওই এলাকায় যান। ছুটে যান বন কর্মাধ্যক্ষও। গভীর রাতে বুনো হাতির পাল জঙ্গলে ফেরানো হয়। বুনো হাতির পাল তাড়াতে স্থায়ী ব্যবস্থা কেন হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলে এদিন এলাকার শতাধিক বাসিন্দা পঞ্চায়েত সমিতির বন কর্মাধ্যক্ষের বাড়ি ঘেরাও করেন। সুনীলবাবু অবশ্য বিক্ষোভকারীদের পক্ষেই সওয়াল করেছেন। তিনি বলেন, “এই এলাকার বাসিন্দাদের ধানই সবকিছু। ধান চাষ করেই সংসার চলে। বুনো হাতির পাল ধান নষ্ট করলে সমস্যা হবেই। বন দফতরের কর্তারা কেন বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়াবেন না সেটা স্পষ্ট নয়। প্রয়োজনে বনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানো হবে।”
|
পাকা কলা বা পেঁপে দু’দিন গাছে রেখে খাবার উপায় নেই। এমনকী রাস্তা ঘাটেও হঠাৎই কপালে জুটছে চড়থাপ্পড়। আতঙ্কে রীতিমতো পথে বেরোতেই ভয় পাচ্ছেন মানুষ। একটি হনুমানের দাপটে এমনই নাজেহাল অবস্থা পূর্বস্থলীর পাঁচটা গ্রামের বাসিন্দাদের। হৃষি, মুড়াগাছা, কালেখাঁতলা, বিশ্বরম্ভা ও ফলেয়া গ্রামের বাসিন্দারা জানান, দিন দশেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে অত্যাচার। প্রথমে একটা দল থাকলেও পরে একটা ‘পাগলা’ হনুমানই আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই সাতজন জখম হয়েছেন। হনুমানটি তাঁদের বুক-পেটের মাংস খুবলে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকাবাসীদের দাবি, স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ির শিশুরা স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে। এমনকী যাঁরা মাঠে কাজ করেন তাঁরাও আতঙ্কে ভুগছেন কাজ করতে। হৃষি গ্রামের বাসিন্দারা পূর্বস্থলী ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মানসী দাসের কাছে বনদফতরের সাহায্য চেয়ে লিখিত আবেদনও করেছেন। মানসী দেবী জানান, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি হনুমানটিকে ধরার জন্য বনদফতরকে জানিয়েছেন। মহকুমা প্রশাসনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। কালনার মহকুমাসাসক সুমিতা বাগচি জানান, দিন সাতের আগে ওই হনুমানটির সাধারণ মানুষকে কামড়ানোর খবর পেয়েছি। কাটোয়া রেঞ্জ অফিসে যোগাযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার হনুমানটিকে ধরার জন্য পাতা হয়েছে একটি খাঁচাও। এখন খাঁচায় পাকা কলা রেখে হনুমানের ‘গ্রেফতারের’ অপেক্ষা করছে গ্রামবাসীরা।
|
বিধান মার্কেট থেকে আবর্জনা তুলে তাঁর ওয়ার্ডে সেবক রোডের ধারে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন কাউন্সিলর কমল অগ্রবাল। শুক্রবার তিনি বিষয়টি সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্তকে জানান। অভিযোগ, বিধান মার্কেট থেকে সাফাই কর্মীরা ট্রাইসাইকেলে করে আবর্জনা তুলে তা নিয়ে গিয়ে ফেলছেন সেবক রোডের ধারে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের অংশে। তাতে ওই এলাকার ব্যবসায়ী বাসিন্দারা কাউন্সিলর কমলবাবুকে অভিযোগ জানান। তার পরেই তিনি বিষয়টি দুলালবাবুকে। দুলালবাবু দ্রুত সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “সমস্যার কথা জেনেই সাফাই কর্মীদের বলা হয়েছে। বিধান মার্কেটের আবর্জনা যাতে ১০ নম্বরে ফেলা না হয় তা দেখা হচ্ছে।” সাফাই বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, আবর্জনা জমা করার জায়গা না থাকাতেই সমস্যা হয়েছে।
|
শুক্রবার দিনভর নয়া সাইলি চা বাগানে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকল ৬টি হাতির একটি দল। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দলে ৩টি দাঁতাল এবং ৩টি মাকনা হাতি আছে। এ দিন ভোর নাগাদ নাগরাকাটা ব্লকের খুনিয়া রেঞ্জ এলাকার নয়া সাইলি চা বাগানে শ্রমিকরা হাতির দলটি দেখে। কোনও ক্ষতি না করলেও এ দিন আতঙ্কে বাগানের কিছু অংশে কাজ হয়নি। জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণ-২ বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক বলেন, “সন্ধ্যার পরে লাগোয়া চাপড়ামারির জঙ্গলের দিকে হাতির চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।” |