খুনের ঘটনায় যাতে কেউ সাক্ষ্য দিতে না যান সে জন্য এত দিন বাড়িতে হামলা ও হুমকির অভিযোগ করছিলেন বিশরপাড়ায় নিহত পুলিশকর্মী অসীম দামের পরিবার। এ বার বাড়ির সামনে এসে গুলি চালানো ও খুনের হুমকির অভিযোগ আনলেন তাঁরা। শুক্রবার, এয়ারপোর্ট থানায় এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবারটি। তবে এখনও কেউ ধরা পড়েনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। ৮ মার্চ, দোলের দিন অসীমবাবুদের বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করছিল স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী। প্রতিবাদ করায় অসীমবাবুকে খুন করে তারা। তদন্তে নেমে আট অভিযুক্তের মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ১৮ মে ব্যারাকপুর আদালতে খুনের মামলায় চার্জশিটও পেশ করে গোয়েন্দা পুলিশ। অসীমবাবুর পরিবারের অভিযোগ, তার পর থেকেই তাঁদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে ধৃতদের সঙ্গীরা। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে ওই খুনের মামলায় ধৃতদের জামিনের আবেদন নাকচ হয়। অভিযোগ, এর পরেই রাতে সশস্ত্র কিছু যুবক অসীমবাবুদের বাড়িতে হানা দিয়ে খুনের হুমকি দেয়। নিহত অসীমবাবুর ভাগ্নি মামন ধর বলেন, ‘‘তখন আমরা ঘুমোচ্ছিলাম। দুষ্কৃতীরা দু’টি গুলি চালায়। গালিগালাজ করে বলে, সাক্ষী দিতে গেলে খুন করব। কোনও পুলিশ বাঁচাবে না।”
|
ঘরে ফেরা ঢাকুরিয়ার বাড়িতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী প্রণব মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার রাতে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন তিনি। প্রার্থী হওয়া নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে প্রণববাবু বলেন, “বহু দলের সমর্থন পেয়েছি। ইউপিএ-র বাইরের দলও সমর্থন করছে। যাঁরা এখনও সিদ্ধান্ত নেননি, তাঁদেরও সমর্থনের জন্য অনুরোধ করছি।” আজ, শনিবার তাঁর দেশের বাড়ি বীরভূমের কীর্ণাহারের মিরিটি গ্রামে যাবেন প্রণববাবু। শনিবার রাতেই তাঁর কলকাতায় ফেরার কথা। আগামী কাল, রবিবার তাঁর বেলুড় মঠে যাওয়ার কথা। রবিবার বিকেলেই প্রণববাবু দিল্লি ফিরবেন।
|
বচসার জেরে নিজের ভায়রাভাইকে কুপিয়ে খুন করল এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার, সল্টলেকে বি ই ব্লকের একটি বাড়িতে। মৃতের নাম বিমল ঠাকুর (৪৭)। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত নৃপেন মণ্ডল পেশায় রিকশাচালক। পুলিশ জানায়, যে বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে সেই বাড়ির মালিক সুমন্ত্রনাথ দত্ত বিদেশে থাকেন। বিমলবাবু ওই বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে নৃপেন তাঁর ভায়রাভাই বিমলের সঙ্গে দেখা করতে আসে। দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বচসার সময়ে নৃপেন মত্ত অবস্থায় ছিল। তখনই সে বিমলবাবুকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে। হাসপাতালে বিমলবাবুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় নৃপেন দোষ স্বীকার করেছে। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই খুন।
|
শহরে পৃথক দু’টি ঘটনায় দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের অনুমান, দু’টিই আত্মহত্যা। পুলিশ জানায়, শুক্রবার প্রথম দেহটি উদ্ধার হয় গরফা থানার ঝিল রোডের একটি বাড়ি থেকে। ভোর ৫টা নাগাদ সিলিং থেকে শুভজিৎ বর্ধন (২৭) নামে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ মেলে। বড়বাজারে তাঁর কাপড়ের দোকান ছিল। ব্যবসায় বিশেষ লাভ না হওয়ায় তিনি দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে শুভজিতের পরিবারের কাছে জেনেছে পুলিশ। অন্য দিকে, প্রগতি ময়দান থানার সাউথ ক্যানাল রোডের একটি বাড়ি থেকে মেলে কাকলি দত্ত (৩২) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। দুপুরে গলায় দড়ি জড়ানো অবস্থায় দেহটি ঝুলতে দেখেন তাঁর শ্বশুর অরুণ দত্ত। পুলিশ জেনেছে, স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল ছিল না। তাঁদের দশ বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
|
সল্টলেকের ভেড়ি এলাকায় জলা বুজিয়ে বাড়ি তৈরির অভিযোগে দু’জনকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম ঋষি বর ও কানু বর। স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু এবং বিধাননগর পুরসভার কয়েক জন কাউন্সিলর বিধাননগরের মহকুমাশাসক মলয় মুখোপাধ্যায়ের কাছে সল্টলেক পুরসভার সংযুক্ত এলাকায় জলা বুজিয়ে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ করেছিলেন। বিধাননগর (দক্ষিণ) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহকুমাশাসক। তার ভিত্তিতেই এ দিন ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। |