তাঁর মনে হচ্ছে সঙ্গীতজীবন ‘সবে শুরু হল’! এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি। সবার ভালবাসা পেলে ‘লক্ষ্যে পৌঁছতে’ পারবেন তিনি।
তিনি আমজাদ আলি খান। ছ’দশক সঙ্গীতের সঙ্গে ঘর করেও যিনি এখনও সুরের জন্য একই রকম তৃষ্ণার্ত। দেশ-বিদেশের অজস্র সম্মান এবং পুরস্কার পাওয়ার পরেও যিনি বলতে পারেন, “পুরস্কার মানে আমার কাছে আশীর্বাদ। যা পেলে দায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে যায়।” জীবনের ৬৭টি বসন্ত পেরিয়ে আসা আমজাদ বরাবর এমনই বিনয়ী। দিল্লি সরকার প্রদত্ত ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের হাত থেকে নিয়ে বললেন, “আমি ১২ বছর বয়স থেকেই একলা। আমার না ছিল কোনও জনসংযোগ সংস্থা, না ছিল কোনও গডফাদার। কিন্তু দেশের সব জায়গা থেকে ভালবাসা পেয়েছি।” তাঁর পাওয়া সব পুরস্কারই পরিবারকে উৎসর্গ করতে চান আমজাদ। কারণ “জীবনের বহু চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। এমনও সময় এসেছে, যখন মনে হয়েছে, জীবন বোধ হয় থমকে দাঁড়িয়ে গেল। কিন্তু আমার স্ত্রী এবং দুই পুত্র সর্বদা পাশে থেকেছে। ওদের জন্যই আবার এগিয়ে যেতে পেরেছি,” বললেন তিনি। |
২০০৪ থেকে সাহিত্য, সঙ্গীত, শিল্পকলায় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য এই পুরস্কার চালু করেছে দিল্লি সরকার। আমজাদ ছাড়াও এ বছরের প্রাপকদের মধ্যে ছিলেন গিরিজা দেবী এবং রাস্কিন বন্ড। নতুন এবং আধুনিক দিল্লির প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিন জনই। রাস্কিন ব্যাখ্যা করলেন, শৈশব থেকেই তাঁর যাবতীয় লেখালেখিতে কী ভাবে দিল্লি তার চিরস্থায়ী ছাপ রেখে গিয়েছে। এখান থেকেই তাঁর সাহিত্যের যাত্রা শুরু। আমজাদের কথায়, “দিল্লি প্রতিদিন আরও সুন্দর হয়ে উঠছে, আধুনিক হয়ে উঠছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে এর জন্য ধন্যবাদ দিতে চাই।” |