অবশেষে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন রাজা পারভেজ আশরাফ। আজ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ৩৪২টির মধ্যে আশরাফ পান ২১১ ভোট। বিরোধী দল পিএমএল (এন)-এর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী সর্দার মেহেতাব আব্বাসি ৮৯ ভোট পেয়েছেন। আর এক প্রার্থী জামাত উলেমা ই ইসলামের প্রধান মৌলানা ফজলুর রহমান ভোটাভুটি শুরুর প্রাক-মুহূর্তে লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান। দেশের ২৫তম প্রধানমন্ত্রী হলেন আশরাফ।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরে আশরাফকে অভিনন্দন জানান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হওয়ার পর আশরাফ তাঁর বক্তৃতায় ভারত, আফগানিস্তান এবং ইরানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার উপরই জোর দেন। আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করা পাকিস্তানের অন্যতম লক্ষ্য বলেও জানান তিনি। উল্লেখ করেন চিন এবং ইসলামি দুনিয়ার সঙ্গে অটুট বন্ধুত্ব বজায় রাখার কথাও।
দেশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসতে বিরোধীদের অনুরোধ করেন আশরাফ। বালুচিস্তানে জঙ্গি-সমস্যার দ্রুত সমাধান তাঁর সরকারের অন্যতম মূল লক্ষ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে আশরাফের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথটি মোটেই মসৃণ ছিল না। শীর্ষ আদালতের রায়ে ইউসুফ রাজা গিলানি গদিচ্যুত হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রথম পছন্দ ছিল মাখদুম সাহাবুদ্দিন। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে মাখদুমের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে রাওয়ালপিন্ডির এক আদালত। তার পরেই বদলাতে থাকে পরিস্থিতি। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে উঠে আসে কামার জামান কারিয়া এবং পারভেজ আশরফের নাম। মাখদুমের পাশাপাশি মনোনয়ন জমা দেন কারিয়াও। সেই সঙ্গে তৈরি রাখা হয় আশরফকেও। নির্বাচন শুরুর কিছু ক্ষণ আগেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন মাখদুম এবং কারিয়া। ফলে প্রার্থী হিসেবে থেকে যান শুধু আশরফই।
গিলানির মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন আশরফ। মন্ত্রী থাকাকালীন তিনিও দুর্নীতিতে জড়িয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের পরেই গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। চলতি বছরের এপ্রিলে আবার গিলানির মন্ত্রিসভায় ফিরে আসেন তিনি। হন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী। |