টুকরো খবর
রায়গঞ্জে রক্তসঙ্কট
জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের সঙ্কট মেটাতে বুধবার ডাকা হয়েছিল একটি সেমিনার। সেখানে ছয় মাসে ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের হাতে সবচেয়ে বেশি রক্তের ইউনিট তুলে দেওয়ার কৃতিত্ব দাবি করে বিবাদে জড়িয়ে পড়লেন কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতারা। সরকারি অনুষ্ঠানে রাজ্যের শাসক দলের দু’দলের নেতাদের বাদানুবাদে হকচকিয়ে যান স্বাস্থ্য দফতর থেকে শুরু করে সেমিনারে উপস্থিত সকলেই। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতাদের মধ্যে তর্কাতর্কি চলার পর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ দিন দুপুরে ঘটনাটি ঘটে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের নবনির্মিত নতুন ভবনের সভাকক্ষে। রক্তদান শিবির করার বিষয়ে উৎসাহ ও সচেতনতা বাড়াতে সেমিনারের আয়োজন করেন ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। সেমিনারে গত ছয় মাসে কোন রাজনৈতিক দল কত ইউনিট রক্ত ব্লাডব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছেন সেই বিষয়ে আলোচনা শুরু হতেই গোলমাল দেখা দেয়। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ বিশ্বাস ও রায়গঞ্জ লোকসভা যুব কংগ্রেস কমিটির সভাপতি মানসকুমার ঘোষের সঙ্গে তুমুল বিবাদে জড়িয়ে পড়েন রায়গঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি রজত ঘোষ। দুই পক্ষ নিজেদের বক্তব্য, দাবি জোরালো ভাবে জানাতে থাকেন। পরিস্থিতি দেখে তথ্য পেশ করে ব্ল্যাড ব্যাঙ্ক। দেখা যায়, কংগ্রেসের উদ্যোগে ১০টি রক্তদান শিবির থেকে ৯৫২ ইউনিট, ডিওয়াইএফের উদ্যোগে ১১টি শিবির থেকে ৫৫৩ ইউনিট ও তৃণমূলের উদ্যোগে ৭টি শিবির থেকে ২৬৭ ইউনিট রক্ত ব্লাডব্যাঙ্কে জমা পড়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত শিবির থেকে ৮৯০ ইউনিট রক্ত জমা পড়েছে।

স্কুলের পড়ুয়ারা অসুস্থ পুরুলিয়ায়
বাড়ি ফিরে স্কুলের মিড-ডে মিল খাওয়ার পরে পড়ুয়াদের অসুস্থ হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার চয়নপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। প্রতিদিনের মত বুধবারও স্কুল ছুটির পরে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলের খাবার দেওয়া হয়। এ দিন ভাত, ডাল ও লাউয়ের তরকারি রান্না হয়েছিল। বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিপ্লব রজক বলেন, “সকালে স্কুল। তাই ছাত্রছাত্রীরা মিড-ডে মিল বাড়ি নিয়ে গিয়ে খায়।” আর এক শিক্ষক কার্তিকচন্দ্র মুদি বলেন, “ছুটির কিছু ক্ষণ পরেই শুনি যে কারও খাবারে নাকি টিকটিকির লেজ পাওয়া গিয়েছে। যদিও আমাদের কেউ তা দেখায় নি। বেশ কয়েকজন পড়ুয়া বমি করছে।” তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া লব বাউরি, দীপালি মাহাতো, দ্বিতীয় শ্রেণীর পৌলমী বাউরি, কীর্ত্তন বাউরিরা জানায়, খেয়ে কেমন গা গুলোচ্ছিল, বমি বমি ভাব লাগছিল। শিক্ষকেরা জানান, অনেক পড়ুয়াকে সরাসরি পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫৮ জনকে আনা হয়েছিল। কয়েক জনের বমি হচ্ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে সকলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালে ওষুধ কেনার নয়া নীতি
ব্যবসায়ীদের থেকে নয়। এখন শুধু উৎপাদকদের থেকেই সরাসরি ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নীতি অনুমোদিত হয়েছে। নতুন নীতি অনুযায়ী, শুধু সরকারি হাসপাতালে ওষুধ বেচে টিকে থাকা উৎপাদক সংস্থাকেও স্বাস্থ্য দফতর আর বরাত দেবে না। কোনও সংস্থাকে বরাত পেতে হলে দেখাতে হবে, বছরে তারা অন্তত তিন কোটি টাকার ব্যবসা করে এবং তার ১০% আসে খোলাবাজারে ওষুধ বিক্রি করে। ক্ষুদ্রশিল্পের আওতাধীন সংস্থার ক্ষেত্রে ন্যূনতম বার্ষিক ব্যবসার অঙ্কটা ৫০ লক্ষ টাকা।

শিশু চিকিৎসা নিয়ে
মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালকে কেন্দ্র করে ইএসআই পরিকাঠামোয় শিশু-চিকিৎসাকে অন্তর্ভুক্ত করতে উদ্যোগী হচ্ছে শ্রম দফতর। বুধবার বিধানসভায় এ কথা জানান শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। এখনও রাজ্যে কোনও ইএসআই হাসপাতালে শিশু চিকিৎসার পরিকাঠামো নেই। এ নিয়ে সরকারের কোনও ভাবনা আছে কি না জানতে চেয়েছিলেন বিধায়ক রুদ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য। উত্তরে শ্রমমন্ত্রী এ কথা জানান। পূর্ণেন্দুবাবু আরও জানান, উলুবেড়িয়া ইএসআই-এ ট্রমা সেন্টার তৈরির জন্যও তাঁরা চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, “ট্রমা সেন্টার গড়তে যা প্রয়োজন তা এখনই দেওয়া সম্ভব নয়। তবে চেষ্টা চালাচ্ছি।” রাজ্যের সব ইএসআই হাসপাতালেই কর্মীর অভাবে পরিষেবায় সমস্যা হচ্ছে এ কথাও এ দিন স্বীকার করেন তিনি।

মিলল সহায়তা
লুম্বিনী মানসিক হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড সুস্থ বলে সার্টিফিকেট দিলেও ‘পাগল’ বলে তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিল কর্পোরেশন ব্যাঙ্কের বালিগঞ্জ শাখা। কারণ আগে ‘স্কিৎজোফ্রেনিয়া’ হয়েছিল তাঁর। বুধবার সেই নীতি চৌধুরীকেই অ্যাকাউন্ট খুলে দিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নাগেরবাজার শাখা। সেখানে পাঁচ লক্ষ টাকার চেকটি জমাও দেন তিনি। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার তপনকুমার চক্রবর্তী বলেন, “নীতিদেবীর সঙ্গে কথা বলে ও চিকিৎসকদের সার্টিফিকেট দেখে আমাদের মনে হয়েছে, অ্যাকাউন্ট খুলতে বাধা দেওয়ার কারণ নেই।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.