শনিবারের সাড়ে বত্রিশভাজা

>• বিধান রায় শেক্সপিয়র ভাই ভাই। কোথায়? আরে, ওঁদের জন্মদিন মৃত্যুদিন সেম সেম। পৃথিবী জুড়ে গবেষণা বলছে, জীবনের অন্য দিনগুলোর চাইতে, জন্মদিনেই নাকি দি এন্ড হওয়ার সুযোগ বেশি। অত লোকজন দেখে উত্তেজনায়, রক্তচাপটা রকেটের মতো লাফিয়ে ওঠে, তার পর জমিয়ে খেলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক-এর সম্ভাবনা বাড়ে। আবার কেউ হয়তো ওই দিনই ভয়ানক মুষড়ে পড়েন। কেউ ভালবাসে না, অনেক হয়েছে, আর দরকার নেই জন্মদিনের। অতঃপর? জন্মদিনে সুইসাইডের কেসও প্রচুর। বয়স বাড়লে আরও সাবধান। ষাট পেরোলেই, ১৪ শতাংশ মানুষকে যমরাজ নিজে এসে হ্যাপি বার্থডে উইশ করতে উসখুস করেন।

>•
নোবেলচোরদের জন্য দুঃসংবাদ। নোবেলের পুরস্কার অর্থ কমছে। ছিল ১০ মিলিয়ন ক্রাউন, হল ৮। আর কদ্দিনই বা কমিটি নোবেল সাহেবের উইলের টাকা থেকে টানবে? দিন বদলেছে, সুদ এমন কিছু বাড়েনি। তা দিয়ে অমন পেল্লাই সংস্থা চালাবার খরচ ওঠে না। তার পর প্রতি বছর পুরস্কারের আয়োজন করতেও জলের মতো টাকা বেরোচ্ছে। অতএব এ বার থেকে টাকা বাঁচাতে হবে। অবশ্য পুরস্কার অর্থ কমলেও বিজয়ীদের মাথাব্যথা নেই। তাঁরা তো ‘নোবেল-ম্যান’। আবিষ্কার, বিশ্বশান্তি ইত্যাদিতেই মশগুল। সম্মান পেলেই খুশি। আসল চিন্তা অন্য চোর এর পর নোবেলতলায় ক’বার যাবে?
>• ঠাকুরে ঠাকুরে খটাখটি হলে কী হয়? কোর্ট কেস। হিমাচলের কুলু’র খবর। এমনিতেই কুলু’র গ্রামে গ্রামে মিনিমাম এক জন করে দেবতা। তাঁদের সব মিছিল করে আনা হয়, কুলু’র দশেরা উৎসবে। কিন্তু গত দু’বছর, শৃঙ্গ ঋষি ও বালু নাগকে উদ্যোক্তারা নেমন্তন্ন করছেন না। আসলে দীর্ঘ দিনের নিয়ম হল, মূল দেবতা রঘুনাথের রথের ডান দিকে থাকবেন ইমপর্ট্যান্ট ঠাকুররা। আর সেখানেই এত কাল থাকত শৃঙ্গ ঋষির মিছিল। কিন্তু বালু নাগের ভক্তরা এ ব্যবস্থা মানতে নারাজ। তাঁদের চাই ডান দিক। বচসা হাই কোর্টে পৌঁছল। বিচারপতি সব শুনে রায় দিয়েছেন, ডাকতে হবে দু’জনকেই এবং রীতি অনুযায়ী ডান দিকে থাকবেন শৃঙ্গ ঋষি-ই। কারণ বালু নাগ তো লক্ষ্মণের অবতার, তা ভাই’রা তো পিছন পিছনই ফলো করে, তাই না! ও হ্যাঁ, বিচারপতির নাম দেবদর্শন সুদ।

>•
বর্ষায় পোঁ পোঁ মশার বড় জ্বালা। তাই এ সময়ে তাইওয়ান-এ দেশ জুড়ে চলে মশা মারার প্রতিযোগিতা। এ বার চ্যাম্পিয়ন ইয়ুয়েন হুয়াং। তিনি এক মাসে প্রায় চল্লিশ লক্ষ মশা মেরে পকেটস্থ করেছেন তিন হাজার মার্কিন ডলার। মশা মারতে চাই কামান, কে বলে? নির্ঘাত মাছি মারা কেরানি!

>•
নেপোলিয়ন বিড়াল সহ্য করতে পারতেন না। আর সে ইংরেজ হলে তো হয়েই গেল। নেপোলিয়ন অবশ্য ইংরেজ বিড়াল কেন, ইংরেজদের পা টু মাথা, সব কিছুই ঘেন্না করতেন। ওঁদের বলতেন, আ নেশন অব শপ-কিপার্স! কিন্তু তাঁর লেখা একটা চিঠি বলছে অন্য কথা। সম্প্রতি ভুল বানান সমৃদ্ধ ইংরেজি চিঠিটি নিলাম হয়েছে প্যারিস-এ। ওয়াটারলু’র পর, কারাগারে বসে নেপোলিয়ন এ চিঠি লিখেছিলেন তাঁর ইংরেজি টিউটরকে। হোমওয়ার্ক। আর এ বারই অষ্টম অবাক। নেপোলিয়ন নাকি মুখে যা-ই বলুন, ইংরেজ আদবকায়দা, ইতিহাস, নিয়মকানুন দেখে অন্তরে অন্তরে মন্ত্রমুগ্ধ ছিলেন। রাজায় রাজায় বিবাদ কই? যত্ত সব নেপোয় মারে দই...ছিঃ...

>•
কিছু দিন আগের কথা। উত্তর কোরিয়ায় প্রয়াত রাষ্ট্রনায়ক কিম জং-ইল-এর শোকসভা। কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকের মুখ খুঁটিয়ে দেখছেন, দুঃখ মাপছেন। তার পর আসামিদের তলব। আপনার কান্নায় একটু জল কম ছিল, শাস্তি ছ’মাস লেবর ট্রেনিং ক্যাম্প বাস। আপনার শোকপ্রকাশে মাজাঘষা লাগবে, রি-এডুকেশন ক্যাম্পে যান। আর আপনার দুঃখ তো বোঝাই গেল না, প্রত্যন্ত প্রদেশে নির্বাসন। সপরিবার।

•> এক বার দেখুন তো, বাড়ির বেড়ালটা ঘুমোচ্ছে কি না! না? তা হলে নির্ঘাত মেক-আপ করছে। নখ শানাচ্ছে,
লোম আঁচড়াচ্ছে, লেজ ফোলাচ্ছে, ঘষে ঘষে গা পরিষ্কার করছে। ম্যাওদের জীবনের তিন ভাগের একের ভাগই
সাজুগুজুতেই চলে যায়। জম্মোদিনে একটা বড় দেখে আয়না দেবেন। আর দুধে মুখ দেবে না।

>• চিনের এক টিন-এজ ছেলে। প্ল্যান করল, দুখি একাবোকা থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভাল। উড়ালপুল থেকে ঝাঁপ দেবে সবে, হঠাৎ এগিয়ে এলেন এক অচেনা মহিলা। এবং জড়িয়ে ধরে গভীর চুমু। ছাড়েই না আর। ছেলেটি তো আচমকা প্রেমে পুরোপুরি ধা। সুইসাইড ডকে। সেই সুযোগে দমকলওলারা উঠে তাকে নীচে নামিয়ে আনলেন। অভিনব রেসকিউ! এখন ওঁদের সত্যি প্রেম কি না, কে জানে?

•>
ইউরোপ। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষ ভাগ। সক্কলে একটা নতুন কুড়মুড়ে খাবার নিয়ে মেতেছে। ভুট্টা থেকে তৈরি। পপকর্ন পপকর্ন। সব ওই ভদ্রলোকের কীর্তি। দুমদাম জাহাজ নিয়ে বেরিয়ে যান, আর নতুন নতুন দেশের খবর, খাবারদাবার জুটিয়ে আনেন। কে আবার? মিস্টার ক্রিস্টোফার কলম্বাস!

•>
ধরুন, একটা মাছিকে ধরে ক্যাফেইন ইনজেকশন দিয়ে দিলেন। তার পর সেটিকে একটা ক্ষুধার্ত মাকড়সার সামনে ছেড়ে দিলেন। তার তো তখন ফিস্টি। কিন্তু তার পর? মাকড়সা মহোদয়কে একটা জাল বুনতে বলুন। এ বাবা, সব ঘণ্ট পাকিয়ে দিল যে এক্কেরে। এ কী? ক্যাফেইন-এ আপনারা মানুষরা, কিছু মেশান-টেশান নাকি?

•>
একটা তাজ্জব অসুখ হচ্ছে আজকাল, বুঝলেন? ডাক্তাররা বলছেন, ‘এলিয়েন হ্যান্ড সিনড্রোম’। মানে আপনার হাত আর আপনার হাতে থাকছে না। হঠাৎ নিজে থেকেই যা খুশি করে ফেলল হয়তো। শোনা যাচ্ছে, বেশির ভাগ সময় মালিককেই ঠাস ঠাস করে চড় মেরে দেয়। বিদ্রোহ থামাবার এক মাত্র উপায়? হাতের ওপর চেপে বসে পড়ুন।

•>
এক বার দেখুন তো, বাড়ির বেড়ালটা ঘুমোচ্ছে কি না! না? তা হলে নির্ঘাত মেক-আপ করছে। নখ শানাচ্ছে, লোম আঁচড়াচ্ছে, লেজ ফোলাচ্ছে, ঘষে ঘষে গা পরিষ্কার করছে। ম্যাওদের জীবনের তিন ভাগের একের ভাগই সাজুগুজুতেই চলে যায়। জম্মোদিনে একটা বড় দেখে আয়না দেবেন। আর দুধে মুখ দেবে না।
>• আপনি তুখোড় বুদ্ধিমান বলে সর্বত্র হাততালি পান? সোনা নয় দানা নয়, হাতে পাবেন দস্তা ও তামা। মাথায় হাত বুলোলেই বুঝবেন। গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, যে যত বুদ্ধির খনি, তার মাথায় নাকি ও দুটো ধাতুর রমরমা।

•>
গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, পৃথিবীর ৯৯ শতাংশ মহিলা, কোনও ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ঢুকেই চোখ বন্ধ করে ডান দিকে ঘোরেন। এমনটি কেন, তা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। আর হ্যাঁ, এই সমীক্ষার আওতায় কমিউনিস্ট দেশের মহিলারাও ছিলেন...

•> শুয়োর তুলে আর গাল দেবেন না। বেচারা বড় অভাগা। পূর্ণিমার চাঁদ দেখেনি, মেঘবালিকাকেও চেনে না, তারাদের ঝিকিমিকি বোঝে না। না না, কবিতা পড়ার কথা হচ্ছে না। ওরা নাকি মাথা তুলে আকাশের দিকে চাইতেই পারে না। যাচ্চলে!



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.