|
|
|
|
দেরিতে ছাড়ল বাস, দুর্ভোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার (এনবিএসটিসি) কলকাতাগামী একটি বাস নির্ধারিত সময়ের প্রায় আড়াই ঘন্টা পরে ছাড়ায় দুর্ভোগে পড়তে হল যাত্রীদের। শুক্রবার রাতে শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে ঘটনাটি ঘটেছে। এনবিএসটিসি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, “ওই বাসের চালক প্রথমে ডিউটিতে না আসায় সমস্যা তৈরি হয়। নানা মহলে যাত্রী দুর্ভোগের বিষয়টি পৌঁছাতে ওই চালক অবশ্য কাজে যোগ দেন।” সন্ধ্যা ৭টার শিলিগুড়ি থেকে কলকাতাগামী ওই সুপারটি সাড়ে নয়টার পরে রওনা হয়। বাসে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। ক্ষুব্ধ যাত্রীদের বক্তব্য, ‘‘কর্তৃপক্ষ বিকল্প চালকের ব্যবস্থা রাখলে বাসের যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হত না।” এনবিএসটিসি সূত্রের খবর, সন্ধ্যার ৭টার ওই বাসের জন্য গোপাল সাহা নামের এক চালককে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তিনি শারীরিক সমস্যার জন্য কাজে যোগ দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। গত বৃহস্পতিবারই শিলিগুড়ি থেকে বহরমপুরগামী একটি বাসের ‘ট্রিপ’ তাঁর জন্যই সাসপেন্ড করতে হয় বলে অভিযোগ। এদিন সকালে তাঁকে সন্ধ্যার ওই বাসের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এনবিএসটিসি-র শিলিগুড়ির ডিভিশন্যাল ম্যানেজার উত্তম গণ বলেন, “সকাল থেকেই ওই চালককে ডিউটি দেওয়া হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার ওঁর জন্য একটি ট্রিপ সাসপেন্ড হয়েছে। তার পরে একটি কর্মী সংগঠনের নেতারা তাঁকে কাজ করতে না বলেছেন বলে তিনি ডিউটি করতে চাইছিলেন না। পরে অবশ্য উনি কাজে যোগ দেন।” তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গোপালবাবু। তিনি বলেন, “আমি গত ১৩ জুন থেকে অসুস্থ। কার্যত জোর করে কয়েকজন অফিসার আমার নাম ডিউটি লিস্টে তুলে দেন। আমাকে কেউ কাজে যোগ না দিতে বলেননি। পরে যাত্রীদের কথা ভেবে আমি কাজ করেছি। তার পরেও নানা অভিযোগ আনা হচ্ছে।” গোপালবাবুর সংগঠন এনবিএসটিসি ওয়াকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সত্যানন্দ দত্ত বলেন, “আমরা কাউকে কাজে যোগ না দেওয়ার কথা কখনও বলি না। সংগঠনের সবাইকে বলা রয়েছে, আগে কাজ তার পরে ক্ষোভবিক্ষোভ, অভিযোগ। ওই চালক যদি নিয়ম না মানেন কর্তৃপক্ষ ওঁকে শোকজ করুক।” তবে যাত্রী দুর্ভোগের প্রসঙ্গে ডিভিশন্যাল ম্যানেজার জানান, পর্যটন মরশুমে আমরা যথাসাধ্য যাত্রীদের পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এদিনের ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমরা সেই জন্য দুঃখিত। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সেই জন্য সতর্ক থাকা হবে। |
|
|
|
|
|