|
|
|
|
অত্যাধুনিক পরিবহণ নগরী গড়তে আশ্বাস রুদ্রনাথের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
হোটেল, ধাবা, শৌচাগার, বিদ্যুৎ, পানীয় জল মিলিয়ে পরিবহণ নগরীকে অত্যাধুনিক রূপ দেওয়া হবে বলে শুক্রবার জানালেন শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। এ দিন পরিবহণ নগরীর ট্রাক টার্মিনাসে এসজেডিএ-র উদ্যোগে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি একটি স্বয়ংক্রিয় ইলেকট্রনিক গেট চালু করা হয়। কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ওই ব্যবস্থায় ট্রাক টার্মিনাসে প্রতিদিন কটি গাড়ি ঢুকছে কিংবা বার হচ্ছে তার যাবতীয় হিসাব থাকবে। ট্রাক টার্মিনাস জুড়ে রাখা হবে নজরদারি। এসজেডিএ চেয়ারম্যানের কথায়, “অনেকটা চণ্ডীগড় বাস টার্মিনাসের মতো এটিকে গড়ে তোলা হবে। তার পরিকল্পনা হচ্ছে। শিলিগুড়ি থেকে যাতায়াতকারী সমস্ত দূরপাল্লার বাস যাতে এখান থেকে যাতায়াত করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করা হবে।” |
|
স্বয়ংক্রিয় ইলেকট্রনিক গেটের উদ্বোধন করছেন রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য।—নিজস্ব চিত্র। |
এসজেডিএ-র পূর্বতন চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের সময়ে পরিবহণ নগরী গড়ে তোলা হয়। প্রথম দিকে সেভাবে সাড়া না-মিললেও পরে দূরপাল্লার ট্রাক, ও বাসের ঠিকানা হয়ে দাঁড়ায় পরিবহণ নগরী। তার সঙ্গে পরিবহণ নগরীকে কেন্দ্র করে শুরু হয় নানা ধরনের অপরাধ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এই এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প বসাতে হয়। তাতেও অপরাধ সামাল দেওয়া সম্ভব না-হওয়ায় ফের ট্রাক টার্মিনাস শ্মশানের চেহারা নিতে থাকে। এসজেডিএ-র পক্ষ থেকে ট্রাক টার্মিনাসে ফি নেওয়া বন্ধ করতে হয়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে নতুন সরকার গঠনের পরে রুদ্রনাথবাবু এসজেডিএ-র দায়িত্ব নেওয়ার পরে ট্রাক টার্মিনাসটি ফের চালু করতে উদ্যোগী হন। রুদ্রনাথবাবু বলেন, “নয়া ব্যবস্থা চালু করতে গিয়ে আগে টার্মিনাসের পাহারায় নিযুক্ত ২৮ জন কর্মীকে এখানে আর নিয়োগ করা যায়নি। তবে তাঁদের অন্য কোথাও যাতে নিয়োগের ব্যবস্থা করা যায় সেটা দেখা হবে।” এদিনের অনুষ্ঠানে মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার, এসজেডিএ-র সদস্য জ্যোৎস্না অগ্রবাল, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সঙ্গীতা ভট্টাচার্য, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের শিলিগুড়ির বিভাগীয় ম্যানেজার উত্তম গণ, শিলিগুড়ির মহকুমা মোটর পরিবহণ আধিকারিক রাজেন সুনদাস এবং এসজেডিএ-র সহকারী কার্যনির্বাহী আধিকারিক সন্দীপ দত্ত উপস্থিত ছিলেন। শঙ্করবাবু বলেন, “এসজেডিএ-র নয়া চেয়ারম্যান বহু কাজ করছেন। কেউ কেউ আমায় উন্নয়নের কাজে সামিল হতে বাধা দিলেও এসজেডিএ-র ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অন্যরকম। পরিবহণ নগরীর উন্নয়নে এলাকার বিধায়ক হিসাবে সমস্ত রকম ভাবে সাহায্য করতে চাই।” |
|
|
|
|
|