একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রঘুনাথগঞ্জ। মোটরবাইক নিয়ে দুষ্কৃতীরা আচমকা হ্যাঁচকা টানে কারও সোনার হার, কারও বা টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। পরপর বেশ কয়েকটি এমন ঘটনার পরেও পুলিশ কাউকে ধরতে না পারায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে শহরে।
শুক্রবার দুপুরে আনন্দ হালদার নামে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ২ লাখ ৯ হাজার টাকা তুলে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের শিকার হন। মোটরবাইকে করে এসে দুষ্কৃতীরা তাঁকে রাস্তায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তারপরে টাকা সহ ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে পালায় দুই যুবক।
রঘুনাথগঞ্জ শহরের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, গত ৬ মাসে ১১টি এমন ছিনতাইয়ের ঘটনা হয়েছে। প্রায় সব ক’টি ঘটনাই শহরের জনবহূল এলাকায় ঘটেছে। গত ১৪ মে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বিকাশ শেখ এই ভাবেই রএকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ফেরার সময়ে আড়াই লক্ষ টাকা খুইয়েছেন। জার্মান শেখ আরও এক ব্যক্তি তাঁর টাকার ব্যাগ নিয়ে ছিনতাইকারীরা পালানোর সময়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন। টাকার ব্যাগটিও বাঁচিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও পুলিশ যে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে পারেনি শুক্রবারের ঘটনাই তার প্রমাণ। |
ওই এলাকার কাউন্সিলর তথা জঙ্গিপুরের উপপুরপ্রধান অশোক সাহা বলেন, “সমস্ত ঘটনাই ঘটেছে ম্যাকেঞ্জি পার্ক সংলগ্ন সড়ক এলাকায়। শহরে ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেশিরভাগই ওই এলাকাতেই অবস্থিত। কিন্তু সেখানে পুলিশি ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়।” এলাকার বাসিন্দারাও বলেন, ম্যাকেঞ্জি পার্ক শহরের প্রাণকেন্দ্র হলেও সেখানে পুলিশি প্রহরা যথেষ্ট নয়। তবে এই ঘটনার পরে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছেন জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা প্রথমে ব্যাঙ্কে ঢুকে পড়ছে গ্রাহক সেজে। তখনই তারা খোঁজ নিয়ে দেখছে কে কত টাকা তুলছে। তারপরে তারা কোনও একজন বা দু’জনকে বেছে নিয়ে তাদের পিছু নিচ্ছে। সেক্ষেত্রে দুষ্কৃতীরা দলে বেশ বড় বলেই মনে করা হচ্ছে। এই দিন যে ব্যাঙ্ক থেকে আনন্দবাবু টাকা তুলেছিলেন, সেই ব্যাঙ্কের সিসিটিভি’র ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, “ভবিষ্যতে শহরে এ জাতীয় ছিনতাই রুখতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।” |