টুকরো খবর
তিন ছাত্রকে ঢুকতে নিষেধে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারস্থ সিপি
তাদের সংগঠনের কর্মী তিন ছাত্রের প্রবেশাধিকারের উপরে হিজলি কলেজ কর্তৃপক্ষ যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন, তা ‘অগণতান্ত্রিক’ দাবি করে বিহিতের আশায় বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হল ছাত্র পরিষদ (সিপি)। শুক্রবার সিপি-র এক প্রতিনিধিদল বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ-সমূহের পরিদর্শক বিনয় চন্দ্রের সঙ্গে দেখা করে। কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ জানায়। সিপি-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল বলেন, “পরিদর্শক পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। কী জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল, তা-ও কলেজে কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।” বৃহস্পতিবার হিজলি কলেজে একটি নোটিস জারি করে জানানো হয়, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া সুদীপ্ত আচার্য, বঙ্কিম আদিত্য ও বিজয় আদিত্য নামে ৩ ছাত্র কলেজ-ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবেন না। এই ৩ জনই সিপি-র কর্মী। সুদীপ্ত আবার ছাত্র-সংসদের সভাপতি, বঙ্কিম সহ-সভাপতি এবং বিজয় সাধারণ সদস্য। সিপি-’র অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) ‘মদতে’ ও ‘চাপে’ই কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই ‘অগণতান্ত্রিক’ নোটিস জারি করেছেন। টিএমসিপি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। প্রসঙ্গত, ক’দিন আগে স্নাতক-স্তরের ফর্ম বিলিকে কেন্দ্র করে হিজলি কলেজে উত্তেজনা ছড়ায়। সিপি-র কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন টিএমসিপি-র কর্মী-সমর্থকেরা। দু’পক্ষের ৮ জন জখম হন। এর পরেই বৈঠকে বসে কলেজের শৃঙ্খলারক্ষা-কমিটি। সেখানেই তিন ছাত্রের প্রবেশাধিকার নিয়ে নোটিস জারির সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতেই শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ-সমূহের পরিদর্শকের দ্বারস্থ হয় সিপি।

উচ্ছেদ অভিযানে বাধার বার্তা বামেদের
হলদিয়া শিল্পশহরে বেআইনি নির্মাণ-উচ্ছেদে উদ্যোগী হল প্রশাসন। শুক্রবার হলদিয়ায় অতিরিক্ত জেলাশাসকের কার্যালয়ে সর্বদল বৈঠক হয়। অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমন হাওলাদার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক শিল্পা গৌরিসারিয়া, বন্দরের প্রশাসনিক আধিকারিক অমল দত্ত, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার সন্দীপ নাগ প্রমুখ। তবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেও হলদিয়া পুরসভায় ফের ক্ষমতায় আসা সিপিএমের কোনও প্রতিনিধি বৈঠকে ছিলেন না। সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা হলদিয়ার পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডাশেঠের অবশ্য অভিযোগ, “আমরা বৈঠকের কোনও চিঠিই পাইনি। পুরসভাকেও জানানো হয়নি।” পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদের যে কোনও চেষ্টার বিরোধিতা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তমালিকাদেবীর কথায়, “যে সরকারের নেত্রী পুনর্বাসন দেবেন বলে সর্বত্র প্রতিশ্রুতি দেন, তারা কী ভাবে পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করে, আমরাও দেখব।” ফলে, বেআইনি নির্মাণ-উচ্ছেদের কাজ কতদূর এগোবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছেই। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়ায় প্রায় ৫ হাজার বেআইনি নির্মাণ রয়েছে। তার মধ্যে বেশ কিছু নির্মাণ বিপজ্জনক অবস্থায় থাকায় সেগুলি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫ ও ২৬ জুন প্রায় ৪০০টি অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হবে বলে ঠিক হয়েছে। প্রথম দিন চিরঞ্জীবপুর থেকে আইওসি এক নম্বর গেট এবং দ্বিতীয় দিন সিটি-সেন্টার থেকে রানিচক পর্যন্ত সমস্ত অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হবে। অবশ্য তার আগে তিন দিন ধরে মাইকে প্রচার চলবে।

তোলা তুলতে না-পেরে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল
একশো দিনের কাজে নিযুক্ত স্বনির্ভর-গোষ্ঠীর কাছ থেকে তোলা তুলতে না-পেরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে এগরা-২ ব্লকের বাথুয়াড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জগন্নাথকরবাড় গ্রামে। এই নিয়ে গণ্ডগোল বাধলে জখমও হন দু’পক্ষের ৮ জন। সম্প্রতি বাথুয়াড়ি পঞ্চায়েতের একটি খাস-পুকুর সংস্কারের দায়িত্ব পায় ‘মা চণ্ডী স্বনির্ভর গোষ্ঠী’। প্রকল্প-মূল্য ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। কাজ শুরু হয় ১৭ মে, শেষ হয় ৮ জুন। ওই স্বনির্ভর-গোষ্ঠীর নেত্রী তপতী দোলইয়ের অভিযোগ, “কাজ শুরুর আগেই পঞ্চায়েত সদস্য প্রণব বাড়ুই-সহ এলাকার জনা-সাতেক তৃণমূল নেতা-কর্মী আমার কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। দিতে অস্বীকার করলে ওঁরা কাজে নানা ভাবে বাধা দেন।” শুক্রবার ব্যাঙ্ক থেকে শ্রমিকদের টাকা আসা নির্দিষ্ট ছিল। তার আগে বৃহস্পতিবার রাতে হিসাব-নিকাশ করতে বসেছিলেন ওই স্বনির্ভর-গোষ্ঠীর সদস্যরা। অভিযোগ, সেই সময়েই প্রণববাবুর নেতৃত্বে একদল লোক চড়াও হয়ে মারধর করে। মহিলাদের শ্লীলতাহানিও করা হয়। বোমাবাজি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তপতীদেবী-সহ আহতদের এগরা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অন্য দিকে, প্রণববাবুর বক্তব্য, “বরাদ্দ টাকা অনুযায়ী কাজ হয়নি। ওরা সিপিএম সমর্থক। আমাদের দলীয় এক কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানোর পাশাপাশি ওরাই দল বেঁধে মিছিলে হামলা করে। ইট, বোমা ছোড়ে।” তাঁর দাবি, “কাজের ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ায় ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।” এগরা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রকাশ রায়চৌধুরী অবশ্য বলেন, “স্বনির্ভর-গোষ্ঠীর অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ’ সত্য নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে দল।”

বিনপুরে হাড়গোড় উদ্ধার
শুক্রবার বিনপুরের আঁধারিয়া অঞ্চলের চুয়াশুলির জঙ্গলে একটি পরিত্যক্ত পাতকুয়োর ভিতর থেকে বেশ কিছু হাড়গোড় এবং পোশাকের অবশেষ উদ্ধার করল পুলিশ ও দমকল। আরও কিছু থাকতে পারে অনুমানে আজ শনিবারও ওই কুয়োয় অনুসন্ধান চালানো হবে। পুলিশের একাংশের সন্দেহ, উদ্ধার হওয়া হাড়গোড় বিনপুরে চাদর বিক্রি করতে এসে গত ২৩ অগস্ট থেকে নিখোঁজ কেশপুরের উচাহার গ্রামের আজফার আলি মল্লিক ও মহম্মদ মেকাইলের। মাওবাদীরাই ওই দু’জনকে ‘চর’ সন্দেহে খুন করে বলে অনুমান পুলিশের। বিনপুরের রাধামোহনপুরের জনৈক কানাই হাঁসদাকে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, কানাইকে জেরা করেই জানা যায়, আজফার ও মেকাইলের দেহাবশেষ চুয়াশুলির জঙ্গলে কুয়োর ভিতর রয়েছে। শুক্রবার কানাইকে সঙ্গে নিয়েই জঙ্গলে তল্লাশিতে যায় পুলিশ। ঝাড়গ্রামের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট স্বদেশরঞ্জন প্রামাণিকের উপস্থিতিতে উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ ও পোশাক আজফার ও মেকাইলের বলে তাঁদের পরিজনেরা প্রাথমিক ভাবে শনাক্তও করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে, পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হাড়গোড়ের ডিএনএ পরীক্ষাও হবে।

পৃথিবী সম্পর্কে জানতে চায় সূর্য
ছেলেবেলা থেকেই আগ্রহ ছিল পৃথিবীর গঠন সম্পর্কে জানার। সে কারণেই উচ্চ মাধ্যমিকে কলাবিভাগে ৪০২ নম্বর পাওয়া সূর্যকান্ত দাস যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ববিদ্যা নিয়ে পড়তে চায়। ভূপতিনগর থানা এলাকার অর্জুননগর গ্রামের সূর্যকান্ত পটাশপুরের নেকুড়শুনি কৃষি শিল্প শিক্ষাসদনের ছাত্র। বাবা সুধাংশুশেখর একটি হিমঘরের শ্রমিক, মা ভারতীদেবী পরিচারিকার কাজ করেন। অর্থাভাবে মাধ্যমিকে ৬১৬ পাওয়া সত্ত্বেও তাকে গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করতে হয়েছে। প্রিয় বিষয় ভূগোল। ভালো লাগে পৃথিবীর নানা বিষয় নিয়ে জানতে। পড়াশোনার প্রতি পদে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থাভাব, স্বপ্নেও। এত দিন স্কুলের শিক্ষকদের সহায়তায় পড়া চালিয়ে এসেছে। প্রধান শিক্ষক শক্তিপদ গিরি বলেন, “সূর্য মেধাবী, জেদও অদম্য। আর্থিক সাহায্য পেলেই ও নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে অবিচল থাকবে।”

শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখে অসিত
মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে খেলার সময় নেই তার। সেই সময় শোলার কাজ করে বাবাকে সাহায্য করলে সংসারে আয় বাড়ে। খানিক সম্ভাবনাও হয়তো বা বাড়ে কলেজে পড়ার। এই দিনযাপন মৈতনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডেমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা অসিতবরণ দাসের। রামনগর বটতলা আনন্দময়ী হাইস্কুল থেকে এ বছর উচ্চমাধ্যমিকে ৪১৭ নম্বর পেয়েছে সে। বাবা অজয় দাস মণ্ডপ তৈরির কাজ করেন। সে কাজও সব সময় থাকে না। মা শঙ্করী দাস স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজে ব্যস্ত থাকায় প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকেন। তখন বাড়ির প্রায় সব কাজই করতে হয় অসিতকে। উচ্চ মাধ্যমিকে সমস্ত বই কেনার সামর্থ্য ছিল না তার। সামান্য টাকা দিয়ে কোচিং সেন্টারে পড়ার সুযোগ পেয়েছিল বলেই রক্ষা। শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন তার চোখে। বাবার মুখে শুনেছে কলেজে পড়ার অনেক খরচ। এ-ও জানে সেই খরচ জোগানো সম্ভব নয় বাবার পক্ষে। তবু এক অজানা ভরসায় দিনবদলের স্বপ্ন দেখে অসিত।

ধর্মায় দুর্ঘটনা, মৃত ২
পথ-দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই মোটরবাইক আরোহীর। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ধর্মায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। খড়্গপুরের দিক থেকে মোটরবাইকে ধর্মার দিকে আসছিলেন শেখ আলতাবউদ্দিন (৩৬) এবং শেখ সিরাজুল (৩৫)। একই দিক থেকে আসা দশ-চাকার একটি লরি পিছন দিক থেকে মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। আলতাবরা ছিটক পড়েন রাস্তার উপর কালভার্টের পাঁচিলে। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই দুই যুবকের। পেশায় শ্রমিক এই দু’জনের মধ্যে সিরাজুলের বাড়ি জামকুণ্ডায়, আলতাবের বাড়ি ধর্মাতেই। বৃহস্পতিবার খড়্গপুরের পাঁচরুলিয়ায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে অটোয় দশ-চাকার একটি লরির ধাক্কায় পাঁচ-পাঁচ জন মারা গিয়েছিলেন। পথ-নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমেই উদ্বেগ বাড়ছে।

বই-প্রকাশ
‘ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে নন্দীগ্রাম’ নামে একটি বইয়ের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হল শুক্রবার। এ দিন তমলুকে জেলা পরিষদের সভাকক্ষে বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন জেলা পরিষেদর সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন। নন্দীগ্রামের বাসিন্দা অধ্যাপক দিলীপকুমার মান্নার লেখা বইটিতে নন্দীগ্রামের ইতিহাস ও বর্তমান সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। প্রকাশ-অনুষ্ঠানে ছিলেন সিদো-কানু-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শমিতা মান্না।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.