জেসিবি মেশিন নামিয়ে সরকারি জলাশয় ভরাট করে দখলের অভিযোগ উঠেছে বাসিন্দাদের একাংশের বিরুদ্ধে। মালদহের চাঁচল-২ ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাপড়া এলাকার ঘটনা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ ওই ঘটনার পিছনে সিপিএমের মদত রয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। দখল হতে চলা জলাশয়ের একাংশ লিজে নিয়ে মাছ চাষ করে একটি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। ওই সংস্থার অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। চাঁচল-২ ব্লকের বিডিও ভাস্কর মজুমদার বলেন, “সরকারি জলাশয় ভরাট করে দখলের অভিযোগ পেয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভূমি সংস্কার দফতরকে দ্রুত তদন্তের কাজ শেষ করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এর পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলা ভূমি সংস্কার আধিকারিক খগেন্দ্রনাথ ডিউ বলেন, “সরকারি জলাশয় এ ভাবে ভরাট করা যায় না। জলাশয় বুঁজে গেলে মৎস্যজীবীরা বিপাকে পড়বে। সব দিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৯ একরের ওই জলাশয়টি চাপড়া জলাশয় নামে পরিচিত। এর মধ্যে ২৫ একর ভূমি সংস্কার দফতরের কাছে লিজে নিয়ে মাছ চাষ করে গোয়ালপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। গত ৪ বছর আগে ৭ বছরের জন্য জলাশয়টি লিজে নেয় সংস্থাটি। সমিতির অভিযোগ, জলাশয় এখন শুকনো। বৃষ্টি শুরু হলে ফের মাছ চাষ শুরু হবে। ওই কাজের সঙ্গে প্রচুর মৎস্যজীবীর রুটি-রুজি জড়িয়ে রয়েছে। অথচ সম্প্রতি বাসিন্দাদের একাংশ জেসিবি মেশিন নামিয়ে জলাশয় বুঁজিয়ে ফেলার কাজ শুরু করে। বাঁধা দিলে উল্টে হুমকির মুখে পড়তে হয় মৎস্যজীবীদের। ইতিমধ্যে কয়েক একর জলাশয় ভরাটের পর দখলও হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের উদাসীনতায় ঘটনাটি ঘটছে। মৎস্যজীবী সমাবায় সমিতির চেয়ারম্যান ওবাইদুর রহমান বলেন, “কয়েকবার অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে জলাশয়টি দখলের ঘটনা বেড়েই চলেছে। মাটি ভরাট করে আল বেঁধে বিভিন্ন অংশ নিজের বলে দাবি করছেন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। এ ভাবে চলতে থাকলে আমাদের পথে বসতে হবে।” চাঁচল-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রশান্ত দাস অভিযোগ করেন, সিপিএমের মদতে জলাশয় ভরাট করে দখলের কাজ চলছে। তিনি বলেন, “ঘটনার কথা প্রশাসনের পাশাপাশি নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।” যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান আনোয়ারা বিবি। তিনি বলেন, “বিডিও জানানোর পরে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জলাশয় দখলে সিপিএম মদত দিতে যাবে কেন। তৃনমূল মিথ্যা অভিযোগ করছে।” |